বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘার আমকে বিশ্বে পরিচিতি করতে “ম্যাংগো ব্র্যান্ডিং কম্পিটিশন-২০২১ শেষ হয়েছে। শুক্রবার (২ জুলাই) রাতে এর চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনা ও নীতিমালা অনুসরণ করে ৮টি শর্তে যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের আনুষ্টানিকভাবে পুরস্কৃত করা হবে।

জানা যায়, উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা প্রশাসন ও “আমাদের বাঘা ফেজবুক গ্রুপে‘র সহযোগিতায় ১০ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এই কম্পিটিনশ চলে। এতে ১৫০ জন অংশগ্রহন করে। নিজের লেখা শ্লোগানের মধ্যে থেকে উপজেলা প্রশাসন সেরা ১০ জনকে বাছাই করা হয়। পরে সেরা ১০ জনের মধ্যে অনলাইন পোলিং ভোটের মাধ্যমে ৩ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলে ২৪ জুন থেকে ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত। অনলাইন ভোটের নম্বর ৫০ এবং উপজেলা প্রশাসনের ৫০ নম্বরে ভিত্তিতে সেরা ৩ জনের শ্লোগানকে নির্বাচিত করা হয়।

সেরা নির্বাচিত ৩ জনের মধ্যে প্রথম হয়েছেন বাউসা ইউনিয়নের খাগড়বাড়ীয়া গ্রামের মাসুদ রানা। তাঁর শ্লোগান ছিল “দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে,বাঘার আম শীর্ষে”।

দ্বিতীয় হয়েছেন গড়গড়ি ইউনিয়নের চকএনায়েত গ্রামের রুবিনা খাতুন। তাঁর শ্লোগান ছিল “দেশ সেরা বাঘার আম, বিশ্বজুড়ে তার সুনাম”।

তৃতীয় হয়েছেন পাকুড়িয়া ইউনিয়নের পানিকুমড়া গ্রামের এম মোশাররফ হোসেন। তাঁর শ্লোগান ছিল “বাঘা বাসির আম স্বর্গের সমান”।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এরমধ্যে মধ্যে বাঘা উপজেলায় ৮ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। উপজেলায় উল্লেখযোগ্যে আমের মধ্যে গোপাল ভোগ, হিমসাগার, আম্রপালি, ল্যাংড়া, তোতাপরি, ফজলি, লক্ষনভোগ (লখনা)। এই আম রপ্তানি করা হচ্ছে ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল, ফ্রান্স, রাশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ইতোমধ্যে বাঘার আম দেশে পরিচিত অর্জন করেছে। এ আমের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও নিরাপদ আম উৎপাদন এবং বিশ্বে পরিচিত করতে ব্র্যান্ডিং কম্পিটিশন‘২০২১ সফলভাবে শেষ করা হয়েছে। বাঘার আমকে বিশ্বে পরিচিতি ঘটানোর জন্য এই আয়োজনকে সফলভাবে বাস্তবায়নে সর্বদা অনুপ্রেরণা ও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। দেশের চলমান লকডাউন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ