নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন, চলতি আমন মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ২৮ টাকা দরে ধান ও ৪২ টাকা কেজি দরে চাল কিনবে সরকার। আগামী ১০ নভেম্বর থেকে সরকারিভাবে ৮ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ করবে সরকার।

আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী।

এসময় মন্ত্রী বলেন, এর আগে গত বছর আমন মৌসুমে ২৭ টাকা কেজি দরে ধান ও ৪০ টাকা কেজি দরে চাল কিনেছিল সরকার। এ বছর প্রতি কেজি চাল ৪২ টাকা ও ধান ২৮ টাকায় কেনা হবে। এ বছর পাঁচ লাখ টন চাল ও তিন লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হবে কেনা।

ধান ও চালের দাম নির্ধারণে কৃষকের স্বার্থ দেখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তিন-চার বছর ধরে মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে কোনো ধান কেনা হচ্ছে না। যেমন আমরা অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকদের থেকে ধান ক্রয় করি, আবার কৃষকের তালিকা ধরে লটারির মাধ্যমে সংগ্রহ করি। টাকাও সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে চলে যায়। এখানে মধ্যস্বত্বভোগীদের কোনো সুযোগ নেই।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

আমন মৌসুমের উচ্চফলনশীল জাত ব্রি-৭৫, বিঘায় ফলন ২০ মণ

দেশে ১৬ লাখ টন ধান-চাল মজুদ আছে, ঘাটতি হবে না : খাদ্যমন্ত্রী

ধান চালের অবৈধ মজুত ঠেকাতে মাঠে খাদ্য মন্ত্রণালয়

নতুন জাত উদ্ভাবন, একটি ধানের জায়গায় ৯টি ধান

বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সবকিছু আমাদের মাথায় আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছেন। আমাদের প্রস্তুতি আছে। বাংলাদেশে খাদ্যসংকট হবে বলে মনে করি না।

ওএমএসের আটায় আট টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কি না এ বিষয়ে সাধন চন্দ্র বলেন, এমন কোনো প্রস্তাব হয়নি। বৃদ্ধিও করা হয়নি। প্রতি কেজি আটার দাম ১৮ টাকাই আছে। সরকারি আটার দাম না বাড়ানোর কারণ হলো, অন্ততপক্ষে যারা নিম্ন আয়ের তাদের জন্য এটা সহায়ক হবে।

আমনের লক্ষ্যমাত্রা ও উৎপাদন পরিস্থিতি নিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমন আমাদের একটা বড় ফসল। এখন অবশ্য বোরো অনেক বেশি হয়েছে। দুই কোটি টন বা তার বেশি বোরো হয়। আমন হয় এক কোটি ৫০ টনের মতো। এ বছর শ্রাবণ মাসে একদিন বৃষ্টি হয়েছে। আমরা এটি নিয়ে খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলাম।

কৃষিমন্ত্রী আরোও বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই চিন্তিত ছিলাম যে ধান লাগানো যাচ্ছে না। আমন হলো ফটোসেনথেটিক। দিন ছোট হয়ে এলে আমন ধানে ফুল এসে যায়, ফুল আসলেই উৎপাদন কমে যায়। ধান বড় হতে পারে না। কিন্তু একদম শেষ দিকে কৃষকরা সেচ নিয়ে নানাভাবে মোটামুটি চাষ করেছেন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ