বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ ও

অর্থ বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আসন্ন ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থান করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতে কৃষিকে দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বক্তব্যে বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ ও গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন অর্থমন্ত্রী তা নিচে তুলে ধরা হলো।

গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন, ২০২০) মহান জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। কোভিড-১৯ মহামারীর বাস্তবতায় বিশ্বে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে দেশের কৃষিখাতকে নতুন বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা সাজানোর কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তবে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার এই বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ আগের চেয়ে তেমন বাড়তে দেখা যায় নি।

কৃষি হচ্ছে আমাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত খাত উল্লেখ করে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই যেন খাদ্য সঙ্কট না হয়। সেজন্য এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখা যাবে না।

ভবিষ্যতের সঙ্কট এড়াতে নিশ্চিতে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ও খাদ্য নিরাপত্তা খাতে ২২ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন তিনি।

নতুন বাজেটে কৃষিতে সর্বমোট ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী, যা মোট প্রস্তাবিত মূল বাজেটের ৫.২৮ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে কৃষিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ২৩ কোটি টাকা, যা চলতি বছরের সংশোধিত মূল বাজেটের ৫.৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে নতুন বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দের হার কমেছে।

করোনাভাইরাস মহামারী ঠেকানোর লকডাউনে দেশের বড় একটি অংশ আয়হীন হয়ে পড়ে, সঙ্কটে রয়েছে চার কোটি অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকও।

অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা উত্তর পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষের যে পূর্বাভাস রয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বিশাল জনজনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তাসহ কৃষিখাতের সাথে জড়িত কৃষক, কৃষি শ্রমিক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের জীবন ও জীবিকা নিশ্চিত করাই কৃষিখাতের অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

তাই অধিক খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসনে জোর দেওয়া এবং সারের ওপর ভর্তুকি অব্যাহত রাখার কথা বলেন তিনি।

মুস্তফা কামাল বলেন, আগামীতে কৃষিখামার যান্ত্রিকীকরণে তিন হাজার ১৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে কৃষি ভর্তৃকি ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষি পুনঃঅর্থায়ন স্কিমে পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হযেছে।

বিগত বছরগুলোর মতো এবারও আমদানি খরচ যাই হোক না কেন রাসায়নিক সারের বিক্রয়মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হবে এবং কৃষি প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বর্তমানে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারী কৃষকের সংখ্যা দুই কোটি ৮ লাখ ১৩৪৭৭ জন। আর খুচরা পর্যায়ে টিএসপি সার প্রতিকেজি ২২ টাকা, এমওপি প্রতিকেজি ১৫ টাকা ও ডিএপি ১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বাজেটে কৃষিঋণ হিসেবে কৃষকদের জন্য বরাদ্দ ৫ হাজার কোটি টাকা

করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় বিগত বছরগুলোর মতো কৃষিখাতে ভর্তুকি, সার বীজসহ অন্যান্য কৃষিউপকরণ প্রণোদনা, কৃষিপুনর্বাসন সহায়তা, স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে বিশেষ কৃষিঋণ সুবিধা এবছরও প্রয়োজনীয় মাত্রায় অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও ফসল কাটায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ক্রয়ে কৃষককে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে।

বাজেটে কৃষিতে বরাদ্দ ও গুরুত্ব নিয়ে যা বললেন অর্থমন্ত্রী শিরোনামের সংবাদটির তথ্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম থেকে নেয়া হযেছে। সংবাদ মাধ্যমটিতে কৃষির গুরুত্ব নিয়ে অর্থমন্ত্রী যা বলেছেন তা তুলে ধরা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনের তথ্য এগ্রিকেয়ার২৪.কম এর পাঠকের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।