এগ্রিকেয়ার২৪.কম ডেস্ক: বাজেরিগার পাখি (Melopsittacus undulatus) সাধারন প্যারাকিট গোত্রের পাখি। এদের আকৃতি ছোট, লম্বা লেজ বিশিষ্ট, দানাদার খাদ্য গ্রহণকারী টিয়া জাতীয় পাখি। এরা মূলত অস্ট্রেলিয়ার পাখি হলেও এখন গোটা বিশ্বে খাঁচায় পালিত হচ্ছে।

১৮০৫ সালে পাখি টি প্রথম সনাক্ত করা হয় এবং এই পাখিটি বিশ্বে ৩য় পোষা প্রাণি হিসেবে স্বীকৃত। বাজেরিগার পাখি পালন, পরিচর্যা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে পাখি বিশেষজ্ঞ ও কনসালটেন্ট (পোষাপাখি, কবুতর, টার্কি) ডা: মো: সাদ্দাম হোসেন, ডিভিএম (সিভাসু)।

গঠন: এরা বিভিন্ন রং এর হয়। লম্বায় ৭ ইঞ্চি, গড় ওজন ৩০-৪০ গ্রাম। লেজ প্রায় ৩০ সে. মি. লম্বা।

বাসস্থান: বাজেরিগার পাখি মূলত গাছের ডালে ঘর করতে পছন্দ করে বন্য পরিবেশে। কিন্তু পোষা পাখি হিসেবে এর জন্য ভাল পরিবেশ দরকার। খাঁচার আকৃতি ২৪*২৪*১৮ ইঞ্চি হতে হবে। ভেতরে একটি খাদ্য পাত্র ও একটি পানির পাত্র দিতে হবে। ডিম পাড়ার জন্য ও বাচ্চা ফুটানোর জন্য মাটির হাঁড়ি প্রদান করতে হবে।

ব্রিডিং: এরা গড়ে ৬-৮ টি ডিম দেয়। ৮ মাস বয়সে পরিপূর্ণ যৌবন প্রাপ্ত হয়। সাধারনত মেয়ে পাখি ডিমে তা দেয় এবং রাতে হাঁড়ি থেকে বের হয় না। এদেরকে ডিম দেওয়ার জন্য মাটির হাঁড়ি প্রদান করতে হয়।

খাদ্য: চিনা, কাউন, মিলেট, গুজি তিল, তিশি, পোলাওর ধানসহ বিভিন্ন উপকরণ খাওয়ানো যায়। এরপাশাপাশি শাক সবজি ও এদের প্রিয় খাবার- শাক, গাজর, ফল ইত্যাদি খাওয়ানো যায়।

পরিচর্যা: বাজেরিগার পাখি খুব ঐ আন্তরিক পাখি। এদেরকে প্রতিদিন দুইবার করে পানি ও খাদ্য প্রদান করতে হবে। পায়খানা দুই দিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিদিন দুইবার করে জীবানুনাশক ছিটাতে হবে।

কৃমিনাশক প্রদান: পাখিকে ৩ মাস বয়সে প্রথম কৃমিনাশক ঔষধ প্রদান করতে হবে। এবং প্রতি ৩ মাস পরপর কৃমিনাশক ঔষধ প্রদান করতে হবে। রোগবালাই প্রতিরোধ ও প্রতিকার: বাজেরিগার পাখি বিভিন্ন ধরনের রোগ হয় যেমন: রানিক্ষেত, সালমোনেলসিস, কলেরা, টাইফয়েড, সিটাকোসিস, বিক এন্ড ফিদার রোগ ইত্যাদি। এই সমস্ত রোগ থেকে বাঁচার উপায় হলো খামারের ভাল পরিচর্যা করা। অসুস্থ হলে দ্রুত ভেটেরিনারিয়ানের কাছে নিয়ে যাওয়া। “করবো মোরা বাজেরিগার পালন, ভরবে আমার মন -প্রাণ, উন্নয়নের সোপান, হওরে যোয়ান আগুয়ান, আমরা আনবো আর্থিক উন্নয়ন।”