অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: ভারতের বিভিন্ন স্থানীয় বাজারগুলোতে বাড়ছে হলুদের দাম। চলতি মাসের শুরু থেকে হলুদের দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে। হলুদের দাম বাড়ার কারণে পণ্যটির রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটিই খবর প্রকাশ করেছে হিন্দু বিজনেস।

তামিলনাড়ুর ইরোদ শহরে গত শুক্রবার বিভিন্ন জাতের হলুদের দাম কুইন্টালপ্রতি ৮ হাজার ২৯৪ রুপি বেড়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি কুইন্টালপ্রতি এ মূল্য ছিল ৬ হাজার ২৫০ রূপি বেড়েছে ভারতের কৃষি ও কৃষক কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যে এসব জানা গেছে।

গত বছরের তুলনায় দরবৃদ্ধি পাওয়ায় হলুদ পণ্যটির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত বছর একই সময়ে হলুদের দাম কুইন্টালপ্রতি ৫ হাজার ৭০০ রুপিরও কম ছিল।

দেশটির ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, খুব অল্প সময়েই হলুদের দাম অনেক বেশি বেড়েছে। ১ হাজার ৫০০ রুপির পরিবর্তে ২ হাজার ৫০০ রুপি বাড়ানো হয়েছে। তবে পরের সপ্তাহে অতিরিক্ত ১ হাজার রুপি কমতে পারে বলে প্রত্যাশ তাদের। এছাড়া রফতানি চাহিদায় হলুদের দাম দ্রুত বেড়েছে। বাংলাদেশ ও উপসাগরীয় অঞ্চলগুলোতে হলুদের ভালো চাহিদা রয়েছে।

অন্যদিকে আরেক দল ব্যবসায়ী মনে করছেন, বাংলাদেশ ও উপসাগরীয় অঞ্চলে হলুদের চাহিদা ছিল গত বছর। বর্তমানে হলুদের যে দাম তাতে হলুদের রফতানি চাহিদা নেই। এমনকি দেশের অভ্যন্তরেও হলুদের চাহিদার ওপর প্রভাব পড়ছে। বর্তমান দামের কারণে হলুদের নতুন চাহিদা তৈরি হয়নি।

ন্যাশনাল কমোডিটি অ্যান্ড ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জ (এনডিএক্স) লিমিটেডের তথ্যমতে, নিজামাবাদ থেকে সরবারাহের জন্য এপ্রিল মাসের চুক্তি অনুযায়ী কুইন্টালপ্রতি হলুদের মূল্য ৬ হাজার ৪২০ থেকে বেড়ে ৮ হাজার ৪২০ রুপি দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে মে মাসের চুক্তি অনুযায়ী কুইন্টালপ্রতি হলুদের দাম ৬ হাজার ৪৮০ থেকে ৮ হাজার ৪৩৯ রুপি বাড়ে। নিজামাবাদ ও তামিলনাড়ুর ইরোদ হলুদের স্থানীয় ব্যবসা কেন্দ্র।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রাক্কলনে ২০১৯-২০ মৌসুমে (জুলাই-জুন) হলুদ উৎপানের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল ৯ দশমিক ৪৬ লাখ টন। এর আগের বছর হলুদ উৎপাদন হয়েছিল ৯ দশমিক ৬১ লাখ টন। বাড়ছে হলুদের দাম সংবাদের তথ্য বণিক বার্তা থেকে নেওয়া হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ