নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আগাম বাঁধাকপি চাষে লাভবান হচ্ছেন পাবনা সদর উপজেলার কৃষকরা। অনেকে জমি থেকে বিঘা হিসেবে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশায় বুক বাঁধছেন।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়ন দরিকামালপুর গ্রাম, পশ্চিম বনগ্রম, কাঁকরকোল বেজপাড়া আনুমানিক ১২০ একর জমিতে আগাম এবং নাবী জাতের হাইব্রিড কপি চাষ করছেন কৃষকরা।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওটাম এবং নরেঞ্জ হাইব্রিড জাত দুটি কৃষক এর কাছে এবার বেশি জনপ্রিয় হয়েছে। এ জাতের কপির গড় ওজন ২-৩ কেজি হয়ে থাকে। এ কারনে এসব এলাকায় সবজি ব্যপারির আনাগোনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কপির আকার ভেদে জমি থেকেই বিঘাপ্রতি আগাম হলে ৭০ হাজার ও নাবী জাত হলে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারছে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

বাঁধাকপি চাষে সফলতা পেতে যেসব কৌশল

বাঁধাকপিতে এক টেকনিকেই মিলবে সফলতা

ফুলকপি ও বাঁধাকপির রোগবালাই দমনে করণীয়

অগ্রহায়ণে (মধ্য নভেম্বর – মধ্য ডিসেম্বর) ফসল, মৎস্য ও প্রাণিতে যেসব যত্ন

স্থানীয় কৃষক সাজাহান আলী জানান, বিঘা প্রতি কপিচাষে খরচ হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা, এ বছর সার কীটনাশক এর দাম বৃদ্ধির কারনে উৎপাদন খরচ বেশি। আমরা জানি ভালাফলন পেতে হলে জমিতে পরিমাণ মতো সার প্রয়োগের বিকল্প নেই। জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুনাগুন যেমন বজায় থাকে তেমনি পরিবেশ ভালো থাকে। জমিতে ভালো ফলন পেতে হলে রাসায়ানিক সার নয় জৈব সার করতে হবে।

বাঁধাকপির জন্য প্রতি শতক প্রতি ১২৫ কেজি গোবর সার, ইউরিয়া ১ কেজি, টিএসপি ৮০০ গ্রাম, এমওপি ৬৫০ গ্রাম সার দিতে হবে। জমি তৈরির সময় সম্পূর্ন গোবর ও টিএসপি সার প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া ও এমওপি সার ২ কিস্তিতে চারা রোপণের ২০-২৫ দিন পর একবার এবং ৩০-৪০ দিন পর আর একবার উপরি প্রয়োগ করা হয়।

দরি কামালপুর গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম হোসন জানান, কপিচাষে দিন দিন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে সে অনুযায়ী দাম বাড়ছে না।
এছাড়াও রোগ ও পোকা নিয়ন্ত্রণে সঠিক পরামর্শ অভাব হচ্ছে তাই পাতাপোড়া রোগর প্রাদূরভাব দেখা দিচ্ছে।তাই কৃষি বিভাগের সহযোগিতা চান এলাকার কৃষকগণ।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, পাবনার কৃষকরা আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে লাভবান হন। আগাম কপিতে ভালো দাম পান তারা। অনেক কৃষক শীতের আগাম সবজির চারা তৈরি করছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ