বিজেএমসি’র পাটের বকেয়া দেনা শতভাগ পরিশোধ করা হবে

এগ্রিকেয়ার প্রতিবেদক: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব মির্জা আজম এমপি বলেছেন, বাংলাদেশকে আবারও সোনালী আশেঁর দেশ হিসেবে রূপান্তর করে পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার । বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশ (বিজেএমসি) অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বর্তমান সরকারের সময়ে সবচেয়ে স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে । এজন্য গত অর্থবছরে বিজেএমসি’র লোকসানের পরিমান ১৭০ কোটি টাকা কমানো সম্ভব হয়েছে । বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশ (বিজেএমসি)’র নিকট পাট সরবরাহকারীদের গত অর্থবছরের পাওনা সমূদয় অর্থ ১৬ ডিসেম্বরের,২০১৭ এর মধ্যে শতভাগ পরিশোধ করা হবে। এছাড়াও এ সময়ের মধ্যে বর্তমান অর্থবছরের পাওনা অর্থের ১০-১৫ ভাগ পরিশোধ করা সম্ভব হবে ।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমাবেশ এ আজ বুধবার তিনি একথা বলেন । আজ সকালে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী সমাবেশ জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাট শিল্পের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিজেএমসি, পাট চাষী, পাট ব্যবসায়ী সহ এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে । কোন ব্যবসায়ী যাতে মিলে নি¤œমানের পাট সরবরাহ না করে সে বিষয়ে সকলকে সর্তক থাকতে হবে । বিজেএমসিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা সম্ভব হলে পাট চাষী, পাট ব্যবসায়ী সহ এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে সবচেয়ে বেশী লাভবান হবে ।

এ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকার পাটশিল্প বান্ধব সরকার । পাটশিল্পে বর্তমান সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বে ও পরিচালনায় এ খাতে নতুন প্রানের সঞ্চার করেছে । পাট শিল্পের এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে শেখ হাসিনার সরকার দেশের অভ্যন্তরে ধান,গম,চাল,ভুট্টা,চিনি এবং সার সহ ১১টি পণ্য মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন রপ্তানী বৃদ্ধি, দেশের অভ্যন্তরের পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে । এ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি বছর প্রায় ১০০ কোটি পাটের বস্তার চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে।

সভায় বিজেএমসি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মালেক, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি শেখ মো: সামিউল ইসলাম (জুয়েল)সহ জেলা-উপজেলা থেকে আগত সমাবেশের এর প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্টোকহোল্ডারগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।

সভায় জানানো হয়, বিজেএমসি’র মিল সমূহে গত অর্থবছরে ১১৮ কোটি টাকা পাটের বকেয়া রয়েছে । বর্তমান অর্থবছরের পাট ক্রয়ের ৩৫০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে ।