SAMSUNG CAMERA PICTURES

ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: জিঙ্ক ও আয়রন সমৃদ্ধ উন্নত জাত বিনাধান-২০ এর প্রচার ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জমিতে প্রদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া এ ধানের উপকারীতা, পুষ্টি পরিচিতি, চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে স্থানীয় কৃষক কৃষাণীদের অবহিত করার উদ্দেশ্যে  শষ্য কর্তন ও কৃষক মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।

গত ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউিট (বিনা) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সদর দক্ষিণ, কমিল্লা এর যৌথ উদ্যোগে ‘‘পরিবর্তিত আবহাওয়া উপযোগী বিভিন্ন ফসল ও ফলের জাত উন্নয়ন কর্মসূচী’এর অর্থায়নে এসব কার্যক্রম সম্পাদন হয়।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় দক্ষিণ রামপুর গ্রামের কৃষক মো. আইয়ুব মজুমদারের জমিতে প্রদর্শনীটি করা হয়। মাঠ দিবসে কৃষক আইয়ুব মজুমদার উপস্থিত কর্মকর্তা ও কৃষক-কৃষাণীদের বলেন, আমার জমিতে বিনাধান-২০ কর্তন করে হেক্টর প্রতি ৪.৯৮ টন ফলন পেয়েছি। আমি মনে করি আমার জমিতে সোনালী বিপ্লব হয়েছে।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কৃষিবিদ ড. বীরেশ কুমার গোস্বামী, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউিট।

তিনি বলেন, বিনাধান-২০ আমন মৌসুমে চাষাবাদ উপযোগী একটি নতুন জাত। এতে ২৬.৫ পিপিএম জিঙ্ক এবং ২০-৩০ পিপিএম আয়রন বিদ্যমান। এধানের জীবনকাল ১২৫-১৩০ দিন। আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় চালের রং লালচে রঙ্গের এবং চাল চিকন। এ জাতটি পোকা ও রোগ সহনশীল জাত বিশেষ করে বাদামী গাছ ফড়িং মধ্যম মাত্রায় প্রতিরোধী।

তাই এ জাতের ধান চাষ করে সহজেই পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।

সভাপতি হিসেবে প্রযুক্তিগত বক্তব্য রাখেন-কৃষিবিদ দিলীপ কুমার অধিকারী, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কৃষিবিদ সিফাতে রাব্বানা খানম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লা, কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন মজুমদার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা মন্ডল, কৃষিবিদ আব্দুর রাকিব, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লা।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, মো. আরিফুজ্জামান মৃধা, উপসহকারী কৃষি অফিসার। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ। ছবি ও তথ্য: কৃষি তথ্য সার্ভিস।