এগ্রিকেয়ার২৪.কম ডেস্ক: দ্বিতীয় বারের মতো বৃহৎ পরিসরে বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৮০০ ট্রাভেল এজেন্ট ও কর্পোরেট অফিসের উর্ধ্বতন প্রতিনিধিদের নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর কাস্টমার সাকসেস সামিট-২০১8 অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মেলন আজ (১০ মার্চ) কক্সবাজারের লংবিচ হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। এ ধরনের মিলনমেলা বাংলাদেশ এভিয়েশনের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করলো ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। অনুষ্ঠানে বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সামিটে উল্লেখযোগ্য অংশের মধ্যে ছিলো বেস্ট সেলার এ্যাওয়ার্ড, ট্রাভেল ও কর্পোরেট পার্টনারদের সাথে ইউএস-বাংলার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে ফানুস ফেস্টিভালসহ অনেক ইভেন্টের উপস্থিতি।

বাংলাদেশসহ এশিয়ার সাতটি দেশ মূলত ওমান, কাতার, মালয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত ও নেপালের ট্রাভেল পার্টনারদের মধ্যে ২০১৭ সালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বেস্ট অব দ্যা বেস্ট সেলার অফ দ্যা ইয়ার নির্র্বাচিত হয়েছে চট্টগ্রামের বি ফ্রেশ ট্রাভেলস্।

এছাড়া ইউএস-বাংলা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রাভেল এজেন্টদের মধ্যে যারা বেস্ট সেলার নির্বাচিত হয়েছে তাদের মধ্যে সম্মাননা স্মারক ও সার্টিফিকেট বিতরন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ ধরনের সম্মেলন করার প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যারা ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের সকলকে এক সুতায় গাঁথা, ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসাকে উৎসাহিত করা, আর দেশের পর্যটন শিল্পকে আরো বিকশিত করা।

যাত্রা শুরুর প্রথম দিন থেকে আমরা ফ্লাইট সিডিউল ও যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে আসছি। আমরা ব্যবসায়িক সম্পর্কের সাধ্যমে সৃষ্টি করতে পেরেছি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আপনাদের এয়ারলাইন্স।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাই কমিশনার হিজ এক্সিলেন্সি মিস্টার বেনিয়ট প্রিফনটেইন, আটাবের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব, বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্ট ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স লিমিটেডের পক্ষে এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং সার্পোর্ট এন্ড পাবলিক রিলেশনস, জিএম  মোঃ কামরুল ইসলাম।

‘ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ’ স্লোগান নিয়ে গত ১৭ জুলাই ২০১৪  সালে ৭৬ আসনবিশিষ্ট দু’টি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা-যশোর ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় ইউএস বাংলা’র। বর্তমানে ইউএস-বাংলা অভ্যন্তরীণ সকল রুটসহ সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, দোহা, মাস্কাট, কাঠমুন্ডু ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

বর্তমানে ইউএস-বাংলার বিমান বহরে চারটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ ও চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে আরো তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০, তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং দু’টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর এয়ারক্রাফট বিমান বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের প্রথম বিমানসংস্থা হিসেবে চীনের অন্যতম বাণিজ্যিক গন্তব্য গুয়াংজুহ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে সপ্তাহে প্রায় ৩০০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে যাত্রা শুরুর পর থেকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে প্রায় ৩৫,০০০ ফ্লাইট পরিচালনা করেছে যা বাংলাদেশের এভিয়েশন ইতিহাসে একটি রেকর্ড।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরুর পর থেকে ৯৮.৭% অন-টাইম ফ্লাইট পরিচালনা, আন্তর্জাতিক মানের ইন-ফ্লাইট সার্ভিস, যা যাত্রী সাধারনের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য এয়ারলাইন্স হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং ইতিমধ্যে প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল এসোসিয়েশন (পাটা) ও ট্রাভেল বিষয়ক অন্যতম পত্রিকা দি বাংলাদেশ মনিটর কর্তৃক সেরা এয়ারলাইন্সের স্বীকৃতি পেয়েছে।

দেশীয় বিমান পরিবহনখাতে ইউএস- বাংলা এয়ারলাইন্স-ই একমাত্র কোম্পানী যা আইএসও ৯০০১:২০০৮ সার্টিফাইড এয়ারলাইন্স। আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটির ডিভিশন অব কর্পোরেশন এর একমাত্র তালিকাভূক্ত বাংলাদেশী এয়ারলাইন কোম্পানী।

আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ার প্রোগ্রাম “স্কাই স্টার”সহ আরো অনেক সেবাধর্মী ও সময়োপযোগী সার্ভিস। স্কাই স্টার কার্ড ব্যবহারকারীগণ নির্ধারিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট সুবিধা পেয়ে থাকেন। যাত্রীদেরকে বেশ কয়েকটি সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা, যা অনুকরনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এভিয়েশন শিল্পে।

উল্লেখযোগ্য সার্ভিসগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- আন্তর্জাতিক রুটের বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের জন্য রয়েছে পিক-ড্রপ সার্ভিস, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অবতরনের পর ১০ মিনিটে ল্যাগেজ ডেলিভারী, ওয়েজ আর্নার্সদের জন্য বিমানবন্দরে প্রবাসী সহায়তা ডেস্ক, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ২০% মূল্যছাড়, সামরিকবাহিনীর কর্মকর্তা ও গলফারদের রয়েছে ১০% মূল্যছাড়সহ বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ইএমআই আরো নানাবিধ যাত্রীসুবিধা।