প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: মাত্র ২২ মাসেই বিক্রমের ওজন হয়েছে ২২ মণ। ফ্রিজিয়ান এ ষাঁড় লালন-পালন করা হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শুভরিয়া গ্রামে। রাধেশ্যাম ও তার স্ত্রী শিখা রানী পরম মমতায় লালন-পালন করছেন। বড় জায়গা না থাকায় বেড়ার ঘরেই রেখেছেন গরুটিকে। ন্যায্য মূল্য পেলেই সামনের কোরবানির ঈদে বিক্রি করতে চান। বিক্রি করতে দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা।

গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাধেশ্যামের গোয়ালঘরে পরম মমতায় লালন-পালন করছেন বিক্রমকে। সাদা ও কালো রঙের মিশ্রণে বিক্রমের শরীর ও চেহার এবং এর হাঁকডাক বিক্রমের মতোই। রাধেশ্যামের ওই গোয়লঘরে শুধু বিক্রমেরই বসবাস। দিনরাত্রী সব সময় গোয়ালঘরটিতে রাখা হয় বিক্রমকে। কখনও ঘর থেকে বের করা হয় না। ওই স্থানে রেখে সার্বক্ষণিকভাবে চলে এর সেবা ও চিকিৎসা।

রাধেশ্যামের স্ত্রী শিখা রাণী বলেন, ওর নাম রেখেছি আমরা ‘বিক্রম’। ওকে নিজ সন্তানের মতোই আদর করে লালন-পালন করছি। ওর এখন ২২ মণ ওজন হয়েছে। ওকে আমরা জমির কাঁচা ঘাস ও খৈল-ভুসি-কুঁড়া খাওয়াই। এছাড়া অন্য কোনো খাবার খাওয়াই না।

গরুর মালিক র‌্যাধেশ্যাম বলেন, এ গরুটি ফ্রিজিয়ান জাতের। গরুটির নাম রেখেছি বিক্রম। এ গরুটির বয়স ২২ মাস। ওজনও ২২ মণ। এ গরুটিকে আমরা কোনো ইউরিয়া সার কিংবা ফিড খাওয়াইনি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ঘাস, খৈল ও ভুসি খাওয়ানো হয়েছে। এ গরু থেকে বীজ সংগ্রহ করে নেয়ার জন্য গরুটি খুবই উপযুক্ত। গরুটি বিক্রি করতে চাই। বিক্রম দেখতে বিক্রমের মতোই। ১৫ লাখ টাকা হলে ঈদে গরুটি বিক্রি করব। তা না হলে আরও লালন-পালন করতে চাই।

এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এনায়েত করিম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, এবছর জেলায় কোরবানির জন্য মোট ১৫ হাজার ৭২৭টি গরু, ৯১০টি ছাগল ও ভেড়া ফার্মে পাওয়া গেছে। তবে যে পরিমাণ কোরবানির জন্য গরুর প্রয়োজন হয়, এ জেলায় তার চেয়ে অনেক কম গরু রয়েছে। অন্যান্য জেলা থেকে গরু এসে মূলত এ জেলার গরুর চাহিদা পূরণ করে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ