নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: তিন দিনের ব্যবধানে বেড়েছে মুরগির লাল-বাদামি ডিমের দাম। সেইসাথে দামে একাকার দেশি-এলসি পেঁয়াজ। রাজশাহীর কাঁচাবাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, আমদানি করা এলসি পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি এক’শ সাদা ডিমে দাম বেড়েছে পঁচিশ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি প্রতি এক’শ সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ৭৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে প্রতি এক’শ লাল ডিমের দাম ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।এই দাম একমাস ধরে প্রায় একই রয়েছে বলে জানান ডিম ব্যবসায়ী শামীম হোসেন।

তিনি এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে আরোও জানান, হাঁসের সাদা ডিম প্রতি ৩০টি ডিমে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকায়। হাঁসের লাল ডিম দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বিক্রি হচ্ছে ২৫৫ টাকায়।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী নগরের সাহেব বাজার, মাস্টার পাড়া এবং মনিচত্বর সবজি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে দেশি পেঁয়াজের দামেই বিক্রি হচেছ ভারত থেকে আমদানি করা বড় পেঁয়াজ। বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম সবসময় বেশি থাকেেলও বর্তমানে তা উল্টে গেছে। মাত্র ৫ টাকা কমে বিক্রি হেেচ্ছ ভারতীয় পেঁয়াজ।

পাইকারি ব্যবসায়ী সোনালী ট্রেডার্সের মালিক সাইদুর রহমান সাইদ এগ্রিকেয়ার.কমকে বলেন, আগে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজিতে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজিতে ৭০ টাকা, যা বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা।

রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকার মুরগি ব্যবসায়ী রেজাউল করিম মিঠু এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে বলেন, মেসগুলো ফাঁকা। ডিম বিক্রি আর আগের মতো নাই। চলছে কোনরকমে।

প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকায়, খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি ১১৫ টাকা, সোনালী মুরগি ১৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতি কেজি সাদা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। দেশি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়, করলা ৬০ টাকায়, কাঁকরোল ৪০ টাকা, আলু ৩৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৪৫টাকা, শসা ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৩৫ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, ঢেঁড়স ৩৫ টাকা, দেশি গাজর ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা দওে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান সবজি বিক্রেতা রজব আলী।

এছাড়া প্রতি কেজি লাল শাক ২৫ টাকা, পুঁই শাক ও সবুজ শাক ২০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচা কলা ২৫ টাকা, প্রতি হালি লেবু ১০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, ৩০ টাকার কচু ৪০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা এবং প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নগরের মাছ ব্যবসায়ী সুমন হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে জানান, ১ কেজি থেকে বেশি এ গ্রেডের ইলিশ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা থেকে ৯২০ টাকায়। ১ থেকে দেড় কেজি ওজনের সিলভার কার্প ১২০-১৩০ টাকা, পাঙ্গাশ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চিংড়ি ও গলদা চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, কালবাউশ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও রুই মাছ ওজনভেদে প্রতিকেজি ২৫০থেকে ৩০০ টাকা, কাতল ২৫০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৪০০টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, ট্যাংরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, প্রতিহালি সাদা ডিম ৩২ টাকা ও লাল ডিম ৩৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও ভোজ্য তেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে বেড়েছে ১০ টাকা। প্রতিলিটার ১০০থেকে ১১০ টাকা, বোতলজাত তেল ১১৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।