এগ্রিকেয়ার২৪.কম ফসল ডেস্ক: এ মাসের (জ্যৈষ্ঠ/মে-জুন) মধ্যেই রোপা আমনের জন্য বীজতলা তৈরি করতে হবে। রোদ পরে এমন উচু জমি নির্বাচন করে চাষ, মই, পানি দিয়ে ভালভাবে থকথকে কাঁদাময় করে নিতে হবে।

জমি উর্বর হলে সাধারণত কোন রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না, তবে অনুর্বর হলে প্রতি বর্গমিটার বীজতলার জন্য ২ কেজি জৈবসার মাটির সাথে মিশিয়ে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

প্রতি বর্গমিটার জমির জন্য ৮০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। বীজ বোনার আগে অংকুরিত করে নিলে তাড়াতাড়ি চারা গজায়, এতে পাখি বা অন্য কারনে ক্ষতি কম হয়। বীজ বোনার আগে বীজতলায় একস্তর ছাই ছিটিয়ে দিলে চারা তোলার সময় উপকার পাওয়া যায়।

ভাল চারা পাওয়ার জন্য বীজতলায় নিয়মিত সেচ দেয়া, অতিরিক্ত পানি নিকাশের ব্যবস্থা করা, আগাছা দমন, সবুজ পাতা ফড়িং ও থ্রিপস এর আক্রমণ প্রতিহত করাসহ অন্যান্য কাজগুলো সতর্কতার সাথে করতে হবে।

চারা হলুদ হলে প্রতি বর্গমিটারে ৭ গ্রাম করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এরপরও যদি চারা হলুদ থাকে তবে প্রতি বর্গমিটারে ১০ গ্রাম করে জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে।

বোনা আমনের বীজ: নিচু এলাকায় বোরো ধান কাটার ৭-১০ দিন আগে বোনা আমনের বীজ ছিটিয়ে দিলে বা বোরো ধান কাটার সাথে সাথে আমন ধানের চারা রোপণ করলে বন্যা বা বর্ষার পানি আসার আগেই চারা সতেজ হয়ে ওঠে এবং পানি বাড়ার সাথে সাথে সমান তালে বাড়ে।

চারা রোপণের ১০-১৫ দিন পর সামান্য পরিমান ইউরিয়া ছিটিয়ে দিলে চারা তাড়াতাড়ি বাড়ে এবং ফলন ভাল হয়। সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস।