নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বোরো ধানে সারের প্রয়োগমাত্রা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, বোরো রোপণের জমিতে প্রয়োজনীয় সার সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। তা নাহলে সঠিক ফলন মিলবে না।

কৃষকরা ধানের চারা লাইন করে রোপণ করবেন। চারা রোপণের সময় বেশি ঘন করে রোপণ না করে আট ইঞ্চি X ছয় ইঞ্চি দূরত্বে চারা রোপণ করবেন।

জমির আগাছা (ঘাস) মারার জন্য কমিট বা সুপারহিট ক্রিয়ার বা রিফিট-৫০০ইসি এর যে কোনো একটি আগাছানাশক বিঘাপ্রতি ১৩৪ এমএল হারে চারা রোপণের ছয়দিনের মধ্যে ব্যবহার করতে হবে।

সারের মাত্রা: বোরোর জন্য বিঘাপ্রতি সারের প্রয়োজন ৩০-৩৫ কেজি। এছাড়া ডিএপি ১২-১৪ কেজি, এমওপি (পটাশ) ১৫-২০ কেজি, জিপসাম আট কেজি ও জিংক সালফেট এক কেজি।

কৃষি সংস্থাটি বলছে, জমিতে ইউরিয়া সার বেশি দিলে গাছের বাড়-বাড়তি বেশি হয়। গাছ হেলে পড়ে। রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ বেশি হয়। এছাড়া ফলন কমে যায়। এজন্য বিয়ার সার ব্যবহার করতে হবে।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

বোরো ধানের জমিতে কি পরিমাণ পানি দিবেন? জানুন

দেরিতে রোপণ করা বোরো ধানের যেসব পরিচর্যা

এক কেজি বোরো ধান উৎপাদনে পানির খরচ নিয়ে যা বললো ব্রি

বোরোতে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরামর্শ

চারা রোপণ থেকে ফসল তোলা পর্যন্ত করণীয়

১. চারা রোপণের ৪০-৫০ দিন পর্যন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করুন।

২. চারা রোপণেরে এক সপ্তাহের মধ্যেই বিঘা প্রতি চার থেকে পাঁচটি ভালো কঞ্চি পুঁতে দিন।

৩. নিয়মিত ক্ষেতে হেঁটে হেঁটে পোকামাকড়ের ও রোগবালাইয়ের আক্রমণের তীব্রতা লক্ষ্য রাখবেন।

৪. থোড় আসার সময় থেকেই আলোক ফাঁদের সাহায্যে কারেন্ট পোকার উপস্থিতি বোঝার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সহায়তা নিন।

৫. পোকামাকড়ের প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য চারা রোপণের ৩০-৩৫ দিন বয়সে একবার ও ধানের ফুল ফোটার পরপরই দুইবার সিস্টেমিক জাতীয় কীটনাশক স্প্রে করবেন।

৬. রোগবালাই শনাক্তকরণের জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সহায়তা নিন।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ