নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এ সপ্তাহের প্রথম দিক থেকেই ব্যাপক আমদানি হয়েছে মসলাজাতীয় পণ্য পেঁয়াজ। ভারত থেকে এ এলসির কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে পণ্যটির।

গত মাসের মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) আইপি মেয়াদ শেষ হলেও আসন্ন রোজা উপলক্ষ্যে দেশে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ঈদ পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখতে চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে তারা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ অনুরোধ গৃহীত না হলে বুধবার (৩০ মার্চ) থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে বলেছিল। তবে, নতুন করে আইপি মেয়াদ ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।যাতে আরো পেঁয়াজ আমদানি করতে পারেন আমদানিকারকরা।

পড়তে পারেন: সরকারি প্রণোদনায় ১৮৩ কোটি টাকার পেঁয়াজ উৎপাদন

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুদিন আগে বন্দরে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারিতে ১৮-২০ টাকায় বিক্রি হয়। বর্তমানে তা ১৪-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজের দাম আগে ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ২৪-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিটের মেয়াদ ২৯ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ ছিল। এ কারণে এলসির বিপরীতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব পেঁয়াজ আমদানির লক্ষ্যে রফতানিকারকদের চাপ দেয় তারা। ফলে কয়েক দিন ধরে বন্দর দিয়ে বাড়তি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়। ২৯ মার্চ শেষ দিনে ৬৩টি ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এতে চাহিদার তুলনায় দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম কমেছে।

পড়তে পারেন: মেহেরপুরে ১২৫ কোটি টাকার পেঁয়াজবীজ উৎপাদন সম্ভাবনা

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বাবলুর রহমান বলেন, নতুন করে আবারো পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি ও সময়সীমা ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সে মোতাবেক আমরা আইপি পেয়ে এলসিও খুলেছি। কিন্তু বর্তমানে গুদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। কিন্তু মোকামে চাহিদা নেই। এখন দাম কমায় বিক্রিও বাড়ছে। এতে সরবরাহ কমে গেলে নতুন করে আমদানি করা হবে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ