নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বর্তমানে রাজশাহীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে ডিমের দামে উৎপাদন খরচ না উঠায় হতাশ লেয়ার খামারিরা।

মুরগির দাম বাড়ার কারণে মাংস উৎপাদনে ফিরেছেন খামারিরা। সরকারি সহযোগিতার দিকে বেশ আশাবাদী খাত সংশ্লিষ্ট সকলেই। দাম বাড়তি থাকায় মাংস উৎপাদনের দিকে যেমন, ব্রয়লার, সোনালি, কক এসব মুরগির বাচ্চা আবারো খামারে তুলতে শুরু করেছেন বলে জানান রাজশাহী পোল্ট্রি এসোসিয়েশন।

আজ শনিবার ( ১৩ মার্চ ২০২১) রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকার খুচরা ও পাইকারী মুরগি দোকানদার মিঠু হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, পোল্ট্রি মুরগি ১৪০ টাকা দরে বেঁচা হচ্ছে। ব্রয়লারের আমদানী আছে দামও আছে। সোনালি মুরগির দাম বাড়ছে কারণ বাজারে সোনালি মুরগি খুবই কম। সোনালি ২৯০ টাকা, কক মুরগি ২৫০ টাকা, হাঁস ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।

একই বাজারের ফাহিম ডিম ভান্ডারের মালিক মাসুদরানা এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে বলেন,  ডিমের দামে খামারিরা শেষ, সেইসাথে আমরাও শেষ। দাম বেশি থাকলে লাভ কিছু হয়। লাল ডিম পাইকারিতে হালি ২৮ টাকা পয়সা টাকা আর সাদা ডিম ২৬ টাকা দরে বিক্রি করছি।

এদিকে, প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) মিল গেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১০ টাকা ও খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু বিভিন্ন মুদি দোকানগুলো প্রতি কেজি সয়াবিন তেল ১৩০ টাকায় বিক্রি করছে।

এছাড়া প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন মিল গেটে ১২৩ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২৭ টাকা ও খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে সরকার সব স্তরের তেলের দাম নির্ধারণ করে দিলেও মানছেন না খুচরা ব্যবসায়ীরা।

পাইকারি দোকানে প্রতি লিটার ১১০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন ১১৩ টাকায়। সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে লিটারে ৩ টাকা বেশি রাখছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ