প্রতিনিধি হিলি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে। দেশীয় বাজারে চাষিদের পেঁয়াজ ওঠায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নাই। দেশি পেঁয়াজে বাজার দখল হয়েছে। মোকামগুলোতেও কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা। পাইকাররা দাবি জানিয়েছেন, ভরা মৌসুমে কৃষকের স্বার্থে পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে না।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে নতুন ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩৩-৩৫ টাকা আর পুরনো ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২১-২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার শাহ আলী বলেন, দেশীয় ও আমদানীকৃত পেঁয়াজের দাম প্রায় একই। সেক্ষেত্রে গুণগত মানের দিক থেকে দেশী পেঁয়াজ অনেক ভালো। এ কারণে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই বললেই চলে।

আব্দুস সোবহান নামের আরেক পাইকার বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এ সময় আমদানি করলে দেশের কৃষকরা দাম না পেয়ে লোকসানে পড়বেন। তারা আবাদে উত্সাহ হারিয়ে ফেলবেন।

এগ্রিকেয়ার২৪.কমের আরোও নিউজ পড়তে পারেন:

ভারতীয় জাতের কারণে ধরা দেশের পেঁয়াজচাষিরা

কমেছে ডাল, ময়দা, পেঁয়াজ, মুরগিসহ বেশকিছু পণ্যের দাম

নাসিক রেড এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফল কৃষকরা

বাজারে উঠেছে মুড়িকাটা পেঁয়াজ, দামে হতাশ চাষিরা

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রনি ইসলাম বলেন, বর্তমানে দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এ কারণে আমদানীকৃত পেঁয়াজের খুব বেশি চাহিদা নেই। বাজারে যে পরিমাণ চাহিদা, তা দেশীয় পেঁয়াজ দিয়েই মিটছে। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বর্তমানে বেশি।

এসব কারণে ব্যবসায়ীরা খুব বেশি পেঁয়াজ আমদানি করছেন না। কিছু ভালো মানের বড় আকারের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, যা চট্টগ্রাম অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হলে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা যেমন বাড়বে, তেমনি বন্দর দিয়ে আমদানিও বাড়বে। তখন ভারতের বাজারে দাম কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আমদানীকৃত পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল থাকবে।

বিজয় রায় নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, বন্দর দিয়ে আগে প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। এখন চার-ছয় ট্রাক আমদানি হচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় আমদানীকৃত পেঁয়াজের চাহিদা কম। এছাড়া ডলার সংকটে ব্যাংকগুলো চাহিদামতো এলসি দিচ্ছে না। এ কারণেও অনেকে আমদানি করতে পারছেন না।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। আগে প্রতিদিন ৩০-৪০ ট্রাক আমদানি হলেও বর্তমানে তা পাঁচ-সাত ট্রাকে নেমেছে। আমদানি কমায় রাজস্ব আহরণও নিম্নমুখী। বন্দর দিয়ে ১-৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৪টি ট্রাকে ১ হাজার ২৪৮ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ