নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: আর মাত্র সপ্তাহ খানেক সময় বাঁকি ঈদুল আজহার ঈদের। কুরবানির ঈদে পেঁয়াজের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। দামও বেড়েছিল সেভাবে। কিন্তু ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির খবরে দেশী পেঁয়াজের কেজিতে ৬ থেকে ৮ টাকা কমেছে।

ইতোমধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঈদে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পত্র দিয়েছে। ফলে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করতে আইপির জন্য আবেদন করতে শুরু করেছেন।

পড়তে পারেন: দেশীর অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ

ভারত থেকে হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির কথা শুনে একদিন আগেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩২-৩৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ভালো মানের পেঁয়াজ এখনো ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহাবুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে হঠাৎ দেশের বিভিন্ন মোকামে পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় দাম বাড়তে শুরু করে। পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় উঠে আসে। তবে সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে, এমন খবরে মোকামে পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা করে কমেছে। আমদানি শুরু হলে ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম আরো কমে আসবে।

পড়তে পারেন: দাম কমেছে ভারতীয় পেঁয়াজ-হলুদের

এর ওপর ঈদুল আজহার কারণে বাড়তি চাহিদা থাকায় দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন অবস্থায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

তিনি বলেন, রোববার (আগামীকাল) এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যদি আইপি দেয়, তাহলে এলসি খুলে সোম বা মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে আবারো পেঁয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে। অনেক আমদানিকারক এরই মধ্যে আইপির জন্য আবেদন করেছেন। আমদানির অনুমতি পাওয়ার পর আমরা এলসি খুলব। এতে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় আসবে।

পড়তে পারেন: চুল পড়া বন্ধে বিস্ময়কর কাজ করবে পেঁয়াজ

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, সরকার নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) বন্ধ রেখেছে। ফলে প্রায় দুই মাসের মতো আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো থাকায় বেশ কিছুদিন ধরে দাম কম থাকলেও সম্প্রতি দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে।

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, দেশীয় কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় গত ৫ মে এরপর থেকে কোনো পেঁয়াজের আইপি ইস্যু করেনি মন্ত্রণালয়।

তবে সম্প্রতি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজের আইপি দেয়ার বিষয়ে কেনো সিদ্ধান্তের কথা আমাদের জানানো হয়নি।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ