নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পানি সাশ্রয়ী আউশ ধান আবাদ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বোরো ধানের আবাদি এলাকা যতটুকু সম্ভব কমিয়ে পানি সাশ্রয়ী আউশের আবাদ বৃদ্ধি করতে হবে, এতে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর কম চাপ পরবে।

শনিবার (৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলে আউশ ধানের আবাদ বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তারা এসব মন্তব্য করেন।

বক্তারা বলেন, সেচ নির্ভর বোরো ধান দেশে খাদ্য নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তবে এ ধান চাষের সময় সেচের চাহিদা মেটাতে অধিক পরিমাণে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হয়। এতে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর ব্যাপক চাপ পড়ে ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর রংপুরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলে ওয়াহেদ খোন্দকার।

ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল হান্নান এবং ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ সেবা) ড. আনছার আলী।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আবু বকর সিদ্দিক সরকার। কর্মশালায় উপস্থিত কৃষক প্রতিনিধিরা জানান, আউশ ধান চাষ বৃষ্টিনির্ভর হওয়ায় সহজেই লাভবান হওয়া যায়। ভালোমানের উফশী বীজ সঠিক পরিমাণে সরবরাহ করা গেলে আউশের উৎপাদন আরো বাড়বে। কর্মশালা শেষে পাঁচজন কৃষক প্রতিনিধির মাঝে ব্রি ধান৪৮ ও ব্রি ধান৮২-এর বীজ বিতরণ করা হয়।