নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মাছ-মাংস ও দুধ-ডিমের উৎপাদন ব্যয়ের সাথে বিক্রয় মূল্যের সামঞ্জস্যতা রক্ষায় একটা নীতিমালা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ। এ সময় তিনি জানান, ক্ষুদ্র খামারীরা ধ্বংস হোক সরকার চায় না।

আজ শনিবার (৩১ মার্চ) গবাদি পশু-পাখির ফিড ও ঔষধ প্রস্তুতকারক এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডিলার ও খামারীদের ‘এগ্রো সম্মেলন’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য ও তথ্য জানান।

সরকার এপ্রিল মাসে মৎস্য ও প্রাণী্জ আমিষ উৎপাদনকারী, ফিড ও ঔষধ প্রস্তুতকারী ব্যবসায়ী এবং খামারীদের নিয়ে একটি নীতিমালা করার চিন্তা-ভাবনা করছে উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর সময়কে আমরা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে না পারলেও এখন আমরা সম্মিলিত ভাবেই মাছ ও মাংসে যেমন স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি, তেমনই দেশ আজ উন্নয়নশীল পর্যায়ে পৌছে গেছে।

তিনি বলেন, যদি সরকারি-বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা এবং খামারীরা এগিয়ে না আসেন তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করা সরকারের পক্ষে একক ভাবে সম্ভব নয়। মন্ত্রী শুধু মাছে-ভাতে বাঙালি না হয়ে আমাদের মাংস ও মাছ দিয়ে মূল্যসংযোজিত বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যোৎপাদন এবং গুণগতমানসম্মপন্ন প্রক্রিয়াজাত মাছ-মাংস উৎপাদনের ওপর জোড় দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে আমাদের প্রক্রিয়াজাত এসব পণ্য বিদেশেও রপ্তানী করা যেতে পারে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত মাছ-মাংস ও খাদ্যের আন্তর্জাতিক মানবজায় রাখতে না পারলে আমরা যথাযথ বৈদেশিক মূদ্রার্জনে আমরা ব্যর্থ হবো।

তিনি জানান, সরকার, খামারী ও ফিড ও ঔষধ-ব্যবসায়ীদের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করতে পারলে উন্নত দেশে পৌছানো যাবে। ফিডের উচ্চমূল্য এবং কাঁচামালের আমদানি ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে আনতে অর্থ, কৃষিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সাথেও আন্তঃমন্ত্রণাল য়সভার প্রয়োজনের ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

সম্মেলনে বক্তারা দেশের প্রাণিজ আমিষের গুণগতমানরক্ষা এবং স্বাস্থ্যসম্মত ফিডমিল উৎপাদনের ওপর জোর দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি ফিড ও ঔষধ প্রস্তুতকারকসহ সর্বস্তরের খামারীদের উচিত মাংসোৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার ধারাটি বজার রাখার জন্য নিরলস পরিশ্রম করা।

কৃষিখাতের মতন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতেও প্রণোদনার ব্যবস্থা করা গেলে অতিদ্রুত দেশের জনগণের পুষ্টিচাহিদাপূরণসহ দেশের সর্বাত্মক উন্নয়ন সম্ভবপর বলে তারা মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বিশেষ অতিথি ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান শহিদুল আহসান, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক-সম্প্রসারণ ড. হিরেশ চন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ।

মন্ত্রী প্রাণি সম্পদখাতে অবদানের জন্য ময়মনসিং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক প্রিমোহন দাস ও কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশনকে বিশেষ সম্মাননা ছাড়াও সারা দেশের ১০জন ফিডমিল ডিলার ও খা্মারীকে পুরস্কার প্রদান করেন।