ইউসুফ আলী সুমন, নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর পত্নীতলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কম্পোনেন্ট-২ (আইএফএমসি) প্রকল্প শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে ১৫টি ‘কৃষক মাঠ স্কুল’। মাঠের কাজ শেষে বিকেলে স্কুলে আসেন এখানকার কৃষকরা।

ইতোমধ্যে ‘কৃষক মাঠ স্কুল’ সাড়া জাগিয়েছে।স্কুলে এলাকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের শিক্ষা দেওয়া ও পরিচয় করানো হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাতের সাথে। সকালে মাঠের কাজ শেষে বিকেলে স্কুলে আসেন কৃষকরা।

খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষক মাঠ স্কুল থেকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনের কৃষি প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন উপজেলার কয়েক শত কৃষাণ-কৃষাণি। কৃষকের বাড়ির আঙিনায় চাষ হচ্ছে সবজি। লালন-পালন করা হচ্ছে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি। পুষ্টি ও পরিবেশ উন্নয়নের সাথে সাথে আসছে বাড়তি আয়।

সরেজমিনে কয়েকটি স্কুল ঘুরে জানা যায়, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, বাজার সংযোগ ও কৃষকদের অর্থনৈতিক সাবলম্বি করে গড়ে তোলার জন্য স্কুলগুলো ব্যাপক ছাড়া জাগিয়েছে। এলাকার কৃষক-কৃষাণীদের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে এ স্কুল।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পত্নীতলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কৃষক মাঠ স্কুলের কার্যক্রম শুরু করে পত্নীতলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ১৫টি কৃষক মাঠ স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। এক বছর মেয়াদে প্রতিটি স্কুলে ৫০ জন করে মোট ৭৫০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হচ্ছে। প্রত্যেক স্কুলে স্থানীয় ২৫টি পরিবার থেকে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা শিক্ষার্থী নেওয়া হয়েছে।

আরোও পড়ুন: মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন নওগাঁর কৃষকরা

তাদের সপ্তাহে একদিন তিন ঘণ্টা করে আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের শিক্ষা এবং উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাতের সাথে পরিচয় করানো হয়। ছয়জন প্রশিক্ষক দ্বারা পরিচালিত স্কুলগুলো মনিটরিং করে কৃষি বিভাগ। কৃষক মাঠ স্কুলে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণে তৃণমূলে পরিবর্তনের ধারা সূচিত হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, কৃষক মাঠ স্কুল চালু হওয়ায় কৃষকরা একত্রিত হয়ে আধুনিক প্রযুক্তিতে কৃষি কাজের অগ্রগতি বুঝতে পারছেন। ভার্মি কম্পোস্ট, হাস-মুরগি, গরু- ছাগল পালন, বাড়ির আঙ্গিনায় সাক-সবজি চাষসহ কৃষির নানাদিক জানতে ও উৎপাদন বাড়াতে পাড়ছেন। কৃষকদের সাবলম্বি করে গড়ে তোলাই কৃষি বিভাগের লক্ষ্য।

মাঠের কাজ শেষে বিকেলে স্কুলে আসেন কৃষকরা এতে কোন সমস্যা হয় না । সকালে মাঠের কাজ শেষে বিকেলের অবসর সময় কাজে লাগান এখানকার কৃষকরা । এছাড়াও বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন সবজি চাষ করে পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে অতিরিক্ত সবজি বিক্রি করে আয় করার মতো পথ পাচ্ছেন এখান থেকেই।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ