ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নভেল করোনাভাইরাস বাদুড় ও বনরুইয়ের শরীরে কিছু সময় বাস করার পর মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে । করোনার জেনেটিক্সের গভীর অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। বনরুই করোনা ছড়িয়েছে কি? এর উত্তরে তারা বলেছেন, মহামারীটির জন্য এখনই বনরুইকে দায়ী করা উচিত হবে না। কারণ কভিড-১৯ মানুষের দেহে সংক্রমণের আগে সম্ভবত এটা তৃতীয় আরেকটি প্রজাতির দেহে বাস করেছে। খবর সিএনএন।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়, লস অ্যালামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি এবং আরো কিছু প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ দলের এ গবেষণাটি সায়েন্স অ্যাডভান্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা উপসংহারে লিখেছেন, একটি বিষয় পরিষ্কার যে আমাদের বন্য প্রাণীর সঙ্গে যোগাযোগ হ্রাস করা দরকার। কারণ এ প্রাণীগুলো নতুন কোনো সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে।

গবেষক দলটি বাদুড় ও বনরুইকে সংক্রমিত করা করোনাভাইরাসগুলোর তিনটি স্ট্রেইন থেকে ৪৩টি সম্পূর্ণ জিনোম বিশ্লেষণ করেছেন এবং এটা নতুন কভিড-১৯ ভাইরাসের অনুরূপ।

এ গবেষণা দলে কাজ করা লস অ্যালামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির কর্মী এলেনা জর্জি বলেন, গবেষণায় আমরা প্রমাণ করেছি যে সত্যিই কভিড-১৯-এর বিবর্তনের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এটা মানুষের মধ্যে স্থানান্তরের ক্ষমতা অর্জনের আগে বাদুড় ও বনরুইয়ের মধ্যে জিনগত উপাদানগুলোর রদবদল হয়েছিল। বনরুইয়ের করোনাভাইরাসের নমুনাগুলো কভিড-১৯ থেকে বেশ আলাদা। যদিও বাদুড়ের ভাইরাস ও বনরুই ভাইরাসগুলোর মধ্যে মিশ্রণ ও মিল, সেটাকে কভিড-১৯-এ রূপান্তর করার জন্য যথেষ্ট ছিল কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

তবে তাদের এ গবেষণা বনরুইকে নভেল করোনাভাইরাসের উৎস থেকে দায়মুক্তি দিতে পারে। এই প্রাণীটি চীনসহ বিভিন্ন দেশে খাদ্য হিসেবে বিক্রি করা হয় এবং এখন পর্যন্ত এটাই মহামারীর সম্ভাব্য উৎস হিসেবে প্রধান সন্দেহভাজন।