নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: স্বল্প আয়ের, সীমিত আয়ের ও শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে ১৫ টাকা কেজিতে ৫০ লাখ পরিবারকে চাল দেয়া হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক মন্ত্রী। আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অন্যদিকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও খোলাবাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচি চালু করবে সরকার। রোববার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি, এমওপিসহ সব ধরণের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। দেশের কোথাও যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে- সে ব্যাপারে আমরা নিবিড়ভাবে মনিটর করছি। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সারে কোন রকম প্রভাব পড়বে না। কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে না, তবে কৃষিপণ্যের দাম কিছুটা বাড়বে।

পড়তে পারেন: চালের বস্তায় বাড়লো ৩০০ টাকা, গরীবের মোটা চালেও আগুন 

‘মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে’ জানিয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আড়াই বছর ধরে চলমান কোভিড পরিস্থিতি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া মধ্যে চলমান যুদ্ধসহ বৈশ্বিক নানা সংকটের কারণে খাদ্যপণ্যের দাম, সারের দাম, তেলের দাম ও গ্যাসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশেও এর প্রভাব পড়েছে। এর ফলে মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার অত্যন্ত সচেতন। মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার নিবিড়ভাবে ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে।

সার-খাদ্যশস্যের দাম কমার আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, সার রপ্তানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি উন্মুক্ত হয়েছে। ইউক্রেন থেকে গম রপ্তানি শুরু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম কমতে পারে। এসবের প্রভাব দেশেও পড়বে, খাদ্যপণ্যের দাম কমবে।

পড়তে পারেন: চালের দাম নিয়ন্ত্রণে ধান মজুদ বাড়ানোর উদ্যোগ

এদিকে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওই দিন থেকে ৫০ লাখ পরিবারের চার কোটি মানুষকে লক্ষ্য করে ব্যাপকভাবে ওএমএস কার্যক্রম শুরু হবে। এর ফলে বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলেও আশা করেন তিনি। আমাদের দুই হাজার ১৩ জন ডিলার আছে। প্রত্যেক ডিলার প্রতিদিন দুই মেট্রিক টন করে চাল পাবে। ভোক্তারা মাসের হিসাবে ১৫ টাকা প্রতি কেজি দরে ৩০ কেজি চাল পাবেন। এই কর্মসূচি জেলা শহর, পৌরসভা বা সিটি এলাকায় একযোগে চলবে বলে জানানো হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ