নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান নেমে আসা ঢলের পানিতে নওগাঁর আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর তীর সংলগ্ন মান্দা উপজেলার ত্রিমোহনী- ফকিন্নি নদীর পূর্বের মসলোটা পাড়ার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে নূরুল্যাবাদ, বিঞ্ষুপুর ও কষবা ইউনিয়নের ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হযে পড়ে।

মান্দা উপজেলা কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, গতকাল ১৪ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে এলাকায় পানি ঢুকে পড়ে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে ৩ শতাধিক পরিবার। আতঙ্কিত এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনকে জানালে অর্ধশতাধিক মানুষের সহযোগিতায় বাঁধের দূর্বল অংশগুলোতে বস্তা চাপা দেওয়া হয়। এ বাঁধ এলাকার মানুষ প্রতিবছরই বন্যার কবলে পড়ে। গবাদিপশু, জিনিসপত্র নিয়ে মানুষ বাঁধের উপরে অবস্থান করছেন। তাদের আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম কুমার মহন্ত এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে জানান,গতকাল সন্ধ্যার দিকে নদীর তীর সংলগ্ন মসলোটা পাড়ার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পাই। সাথে সাথে ৪০-৫০ জন মানুষ লাগিয়ে বাঁধের দুর্বল পানি চোয়ানো অংশগুলো চাপা দেই। পানির চাপে প্রতিবছরই ঐ এলাকার কোন না কোন জায়গা ভাঙ্গে। ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে সহযোগিতা করা হয়। এবারও তাদের তালিকা করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ত্রাণসহ অন্যান্য জিনিসপত্র পাঠানো হবে।

নুরল্যাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মন্ডল এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে বলেন, প্রতিবছরই বাঁধের এক জায়গাতে ভাঙ্গে। গতকাল বাঁধ ভেঙ্গে ভেতরে পানি ঢুকে পড়ে। গবাদিপশু, জিনিসপত্র নিয়ে মানুষ বাঁধের উপরে জায়গা নিয়েছেন। আপাতত সরকারি কোন বরাদ্দ নাই। এতগুলো পরিবারকে ব্যক্তিগতভাবে কিছু ত্রাণ দেওয়াও সম্ভব না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) আবদুল হালিম এগ্রিকেয়ার ২৪.কম কে জানান, উপজেলার বিঞ্ষুপুর ও কষবা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ৩০০ পরিবার পনিবন্দি হওয়ার ব্যপাওে ানা গেছে। যেসব এলকায় বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে সেসব এলাকায় বালিভার্তি বস্তা দিয়ে আটকানোর চেষ্টা চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদেও ত্রাণের আওতায় নেওয়া হবে। সেইসাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।