(বরগুনা) প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের সৌদি ফেরত হাবিবুর রহমান মাল্টা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে । তিনি এখন বছর মাল্টা বিক্রি করে আয় করেছেন ৫ লাখ টাকা ।

হাবিবুর রহমানের বলেন, আমি ২০ বছর সৌদি ছিলাম। ২০১৫ সালে দেশে ফিরে আসি। দেশে ফিরে বেকার হয়ে পড়ি, কি করবো তাই ভাবছিলাম। একদিন ইউটিউবে মাল্টা চাষে এক চাষীর সফলতার গল্প শুনে সিদ্ধান্ত নেই মাল্টা চাষ করবো।

কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহায়তায় বাড়ির পাশে ১০ বিঘা জমিতে ৫ হাজার মাল্টার চারা রোপন করে পরিচর্যা শুরু করি।

পড়তে পারেন: রাতের আধারে তিন শতাধিক পেয়ারা-মাল্টা গাছ কেটে সাবাড়

এক থেকে দেড় বছরের মাথায় অল্পকিছু মাল্টা আসে, আমি প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করি। কিন্তু বছর যেতেই আয় বাড়তেই থাকে। কারণ প্রতিবছর বাগানে ফলের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

এবছর যে ফল ধরেছে তা বিক্রি করে আমার ৫ লক্ষ টাকা লাভ হয়। ভবিষ্যতে আমি এই মাল্টা গাছ থেকে মাল্টা বিক্রি করে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছি।

পড়তে পারেন: বরেন্দ্র অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা

আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, হাবিবুর রহমান একজন সফল চাষী। মাল্টা চাষ করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছে। হাবিবুর রহমানের সাফল্য দেখে এলাকায় বিভিন্ন চাষিরা মাল্টা চাষে উদ্ধুদ্ধ হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য কৃষককে মাল্টা চাষের জন্য সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ