ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মিষ্টি কুমড়া এক প্রকার ফল জাতীয় সবজি। এটি মিষ্টি লাউ নামেও পরিচিত।মিষ্টি কুমড়ার বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের কারণে তেমম ভালো ফলন হয় না। তাই আমাদের বিভিন্ন রোগ ও দমন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে হবে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক মিষ্টি কুমড়ার বিভিন্ন রোগ ও দমন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে:
সাদা গুঁড়া রোগ:
লক্ষণ:
১. রোগের প্রারম্ভে গাছের নিচের বয়স্ক পাতায় রোগের লৰণ প্রকাশ পায়। ক্রমশ উপরের পাতায় রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
২. প্রথমে পাতার উপর বিক্ষিপ্ত সাদা সাদা দাগের সৃষ্টি হয়।
৩. রোগ বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে দাগ আকারে বড় হতে থাকে এবং হলুদ বর্ণ থেকে বাদামী রঙ ধারণ করে।
৪. রোগের প্রকোপ বেশি হলে গাছের লতা ও কান্ড আক্রান্ত হয়। ধীরে ধীরে সেই লতা ও পরে পুরো গাছই মরে যেতে পারে।

আরও পড়ুন:  অধিক ফলন পেতে মিষ্টি কুমড়ার যেসব জাত নির্বাচন করবেন

দমন ব্যবস্থাপনা: 
১. রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য লাউ ও কুমড়াজাতীয় আগাছা বিনাশ করতে হবে।
২. জমির আশে-পাশে কুমড়া জাতীয় যে কোন সবজি চাষ থেকে বিরত থাকা
৩. আগাম চাষ করে রোগের প্রকোপ কমানো যায়।
৪. প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ইনসাফ/থিয়ভিট বা সালফোলাঙ/কুমুলাস অথবা ১০ গ্রাম ক্যালিঙিন ১৫ দিন পর পর সেপ্র করে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা।

ডাউনি মিলডিউ: 
লক্ষণ: 
১. এই রোগ শুধু পাতায় হয়। আক্রান্ত পাতায় নানা আকারের দাগ পড়ে। সাধারণত দাগগুলি কোণাকৃতি ও হলদে হয়।
২. দাগগুলি খুব তাড়াতাড়ি সংখ্যায় বৃদ্ধি পায় ও আকারে বড়ো হয়। পাতার নিচে দিকে দাগের উপরে বেগুনি রংয়ের ছত্রাক জন্মে।

আরও পড়ুন: মিষ্টি কুমড়ার মাছি পোকা দমনে করণীয়

দমন ব্যবস্থাপনা: 
১. রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য লাউ ও কুমড়াজাতীয় আগাছা বিনাশ করতে হবে।
২. জমির আশেপাশে কুমড়া জাতীয় যে কোনো সবজি চাষ থেকে বিরত থাকা।
৩. আগাম চাষ করে রোগের প্রকোপ কমানো যায়।

মিষ্টি কুমড়ার বিভিন্ন রোগ ও দমন ব্যবস্থাপনা শিরোনামে লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি