নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: নগরের কর্মজীবনে ঘরে খুব একটা পিঠা পায়েস তৈরি অনেকেরই সম্ভব হয় না। আর বাসায় হরেক রকমের পিঠা একসাথে তৈরি করাও সম্ভব না। মেলায় এসে দুধ পুলি, খেজুর গুড়ের চিতই পিঠা, পার্টি শপটাসহ হরেক রকমের পিঠা খেয়েছি কথাগুলো বলছিলেন রাজশাহীর শাহ মূখদূম কলেজে পিঠা মেলায় আসা অথই আফরিন নামে এক দর্শনার্থী।

নগরীর সাগরপাড়া থেকে এসেছেন আনিকা ইসলাম নামে আরেক তরুণী। তিনি জানান, আগে তো দাদা বাড়ী, নানা বাড়ীতে প্রতি বছরই পিঠা খেতে যাওয়া হতো। তবে এবছর করোনার জন্য যাওয়া হয় নি। এখানে এসে ভালো লাগছে, দাদী নানীদের মূখে শুনেছি পৌষপার্বণে পিঠা উৎসবের কথা। সেই দিন গুলো আমরা নতুন প্রজন্ম এখানে এসে উপভোগ করছি।

এবছর (৫-৬ ফেব্রুয়ারী) দুইদিন ব্যাপী রাজশাহী উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজিত পিঠা মেলায় ২২ জন নারী উদ্দোক্তার স্টল রয়েছে। নিজেদের স্টলগুলো পিঠা দিয়ে সুসজ্জিত করে রেখেছে তারা। তাদেরই একজন রানী পিঠা ঘরের স্বত্বাধিকারী রানী। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বসিয়েছে প্রায় ৩০রকমের পিঠার পসরা। বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

মেলার আয়োজক রাজশাহী উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রেজেটি নাজনীন বলেন, নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য এই আয়োজন। প্রতিবছরই এসময় সময় আমরা এই মেলার আয়োজন করি। এই মেলার মাধ্যমে আমরা আমাদের ঐতিহ্য এই প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারছি, এটাও একটা আত্মতৃপ্তি।

তিনি আরো বলেন, এই মেলার মাধ্যমে আমরা নারী উদ্দোক্তা তৈরি করতে পারছি। অনেক নারীর মধ্যে বিভিন্ন গুন আছে কিন্তু তারা প্রয়োগের কোনো ক্ষেত্র পায় না, তাদের আমরা সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছি। প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রাম, মেলার আয়োজন করে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তুলছি। গত ৫/৬ বছর আগে আমরা ৮টি স্টল দিয়ে এই মেলার যাত্রা শুরু করেছিলাম। এবছর ২২টি জন নারী উদ্দোক্তা তাদের পিঠার পসরা সাজিয়েছেন এই মেলায়।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ