পোল্ট্রি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: পুলোরাম মুরগির বাচ্চার একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক রোগ। এ রোগে বাচ্চা অবস্থায় খামারের প্রায় সব মুরগিই মারা যায়। মুরগির পুলোরাম রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা।

মুরগির পুলোরাম রোগের লক্ষণ :
ডিমের মাধ্যমে সংক্রামিত হলে অনেক বাচ্চা ডিমের মধ্যেই মারা যায়। কিছু বাচ্চা ডিম থেকে ফুটে কিছুক্ষণের মধ্যে মারা যায়। আবার অনেক বাচ্চা কিছু সময় বাঁচে। জন্মের পর এ রোগে আক্রান্ত বাচ্চা মাথা নীচু করে ঝিম মেরে থাকে।

ঘনঘন সাদা বর্ণের পাতলা পায়খানা করে বলে অনেক সময় একে ব্যাসিলারী হোয়াইট ডায়রিয়াও বলা হয়। আক্রান্ত বাচ্চা কিছু খায় না। পানির পিপাসা বেশী থাকে। ১-৩ সপ্তাহ বয়সের মুরগির বাচ্চার মৃত্যুহার প্রায় ১০০ ভাগ।

প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণঃ
ডিমের মাধ্যমে রোগ জীবাণু সংক্রামিত হয় বলে বাহক পাখির ডিম ফুটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিবার ডিম ফুটানোর পূর্বে ইনকিউবেটর ও হ্যাচারী উত্তমরুপে পরিস্কার করতে হবে।

হ্যাচারী জীবাণুনাশক ঔষধের সাহায্যে পরিস্কার করতে হবে। ডিম, হ্যাচারী ঘর ও ইনকিউবেটর নিয়মিত ফিউমিগেশন করতে হবে। মোরগ-মুরগির বাসস্থান, খাদ্য ও পানির পাত্র পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

চিকিৎসাঃ
সালফানামাইড, ফুরাজোলিডন ও ক্লোরটেট্রাসাইক্লিন গ্রুপের ঔষধ এ রোগে বেশ কার্যকরী। সহায়ক চিকিৎসা হিসেবে ভিটামিন ও মিনারেলের ব্যবহার দ্রুত সেরে উঠতে সহায়তা করে।

মুরগির পুলোরাম রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সংবাদের তথ্য ই- প্রাণিসম্পদ থেকে নেওয়া হয়েছে।

এ্রগ্রিকেয়ার/এমএইচ