পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: মুলা একটি শীতকালীন সবজি। দেশের সর্বত্রই এখন চাষ হচ্ছে। মুলা একটি মুলবিশেষ খাবার উপযোগী সবজি।এই সবজিটি পুষ্টিকর হলেও অনেকেই মূলা খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু মুলার পাতা এবং মুলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে।

মুলার পুষ্টি গুণ: মুলার মূল যেমন পুষ্টিসমৃদ্ধ তেমন এর পাতাতেও প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে বলে  বিশেষজ্ঞরা বলছেন। কচি মুলার পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায়। মুলার পাতাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি পাওয়া যায়।

খাবার উপযোগী ১০০ গ্রাম মুলাপাতায় আছে আমিষ ১.৭ গ্রাম, শ্বেতসার ২.৫ গ্রাম, চর্বি ১.০০ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৫৭ গ্রাম, ভিটামিন সি ১৪৮ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ বা ক্যারোটিন ৯ হাজার ৭০০ মাইক্রোম ভিটামিন বি-১০.০০৪ মিলিগ্রাম, বি-২০.১০ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, লৌহ ৩.৬ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪০ মিলিগ্রাম এবং ১২০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম রয়েছে মুলাতে।

আরও পড়ুন: মুলার বিভিন্ন রোগের কারণ ও প্রতিকার

উপকারিতা:

জন্ডিস: জন্ডিস রোগীদের জন্য মূলা খুব উপকারী। যাদের জন্ডিস হয়েছে বা যারা ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন, তাদের মূলা খাওয়া উচিত। কারণ মূলা রক্তে বিলিরুবিন নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেহে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়। এ ছাড়া এটি রক্ত পরিশোধন করে।

ক্যান্সার: মূলা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকর।

রক্তচাপ: মূলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ মূলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। এছাড়া মূলায় বিশেষ ধরনের অ্যান্টি-হাইপারটেনসিভ থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

কিডনি: মূলা কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। কিডনির যেকোনও সমস্যা রোধ করে মূলা।

ডায়াবেটিস: মূলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। মূলায় প্রচুর ফাইবার রয়েছে। মূলা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা এটি গ্রহণ করতে পারেন। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ

ঠাণ্ডা লাগা: শীতে সবচেয়ে বেশি যে শারীরিক সমস্যা হয় তা হল সর্দি-জ্বর। নিয়মিত মূলা খেলে এসব সমস্যা কম হবে। এছাড়া মূলা খাওয়ার আরও অনেক সুবিধা রয়েছে, কারণ এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা অনেক রোগ থেকে দূরে রাখে।

আরও পড়ুন: অধিক ফলন পেতে মুলার যেসব জাত নির্বাচন করবেন

ভিটামিনের ঘাটতি দূর হয়: একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে, নিয়মিত মুলার পাতা খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে নানাবিধ ভিটামিনের পরিমাণ যেমন বাড়তে থাকে, তেমনি আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতিও দূর হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

মুলার পুষ্টি গুণ ও উপকারিতা শিরোনামে লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি