ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: নাটোরের গুরুদাসপুরে মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক প্রয়োগে সাড়ে চার বিঘা জমির রসুন নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিন কৃষক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের শিধুলী গ্রামে।

ক্ষতিগ্রস্ত তিন কৃষক মো. নুর ইসলাম, রিপন আলী ও আনিস আলী ওই গ্রামের বাসিন্দা।এ ঘটনায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে উপজেলার পাটপাড়া বাজারের ওষুধ বিক্রেতা মেসার্স স্বপ্না ট্রেডার্সের মালিক মো. শাহীন আলমের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কার্যালয় বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী তিন কৃষক।

কৃষক নুর ইসলাম জানান, গত ৫ নভেম্বর পাটপাড়া বাজারের কীটনাশক বিক্রেতা শাহীন আলমের দোকান থেকে প্রায় সাড়ে ৪ বিঘা ক্ষেতের রসুনে ওষুধ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ক্রয় করা হয়। আমরা লেখাপড়া না জানায় ওষুধের প্যাকেটের মেয়াদ নির্ণয় করতে পারিনি।

আরোও পড়ুন: রাজশাহীতে ছত্রাকনাশক ওষুধে পুড়লো হাজার বিঘা আলু

তবে বিক্রেতাকে বিশ্বাস করে ওষুধ নিয়ে এসে জমিতে প্রয়োগ করি। কীটনাশক প্রয়োগের কিছুদিন পরেই রোপণকৃত রসুনের শিকড় গজাই না। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হলে এক সালিসি বৈঠকে তিনি অভিযুক্তকে ডেকে আমাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বলেন।

কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি চেয়ারম্যানের নির্দেশ অমান্য করে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না। এখন আমরা সর্বশান্ত হয়ে গেছি। সাড়ে চার বিঘা জমিতে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। তারা এখন ক্ষতি পূরণ চান বলেও জানান।

ধারাবারিষা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন জানান, এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অভিযুক্ত কীটনাশক বিক্রেতাকে। তবে ক্ষতিপূরণ না দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত কীটনাশক বিক্রেতা শাহীন আলম মুঠোফোনে বলেন, ভাই আমি খুব ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে পরে কথা বলছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষকরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সরেজমিন গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ