ডাঃ ভবতোষ কান্তি সরকার জেলা (যশোর) প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশের সব জায়গাতেই আসন্ন পবিত্ৰ ঈদ উল আযহা কে সামনে রেখে উদ্যোক্তারা গবাদিপশু হৃষ্টপুষ্টকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

অনেকের সারা বছরের উপার্জনও এ মৌসুমের উপর নির্ভর করে। অনেক স্বপ্ন আর পরিশ্রমের ফলও পাবেন তারা। দরকার তাদের পাশে দাঁড়ানো। পাঠক এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আজ তুলে ধরছেন জেলা (যশোর) প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ভবতোষ কান্তি সরকার।

আসন্ন পবিত্ৰ ঈদ উল আযহা কে সামনে রেখে দেশে প্ৰায় এক কোটি পনের লক্ষ গবাদিপশু প্ৰস্তুত হচ্ছে। যার প্ৰায় শতভাগ নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে হৃষ্টপুষ্টকরণ করা হচ্ছে। দেশের প্ৰায় বিশ লক্ষাধিক খামারি-কৃষকের হাত ধরে এই পশুগুলি কোরবাণীর হাটে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মণ্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের রাজস্বভূক্ত কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ, এনএটিপি, এআইইটি, দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পসহ অন্যান্য প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবীগণ খামারিদের প্রশিক্ষণদান, উঠান বৈঠক, মতবিনিময়, খামার পরিদর্শন ও মনিটরিং, লিফলেট ও ফোল্ডার বিতরণের মাধ্যমে এই হৃষ্টপুষ্টকরণ খামারিদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও সেবা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

কোরবানির প্রায় চার মাস আগে থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে হৃষ্টপুষ্টকরণকৃত পশু ও খামারির তালিকা প্রস্তুত, অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের কাছে প্রেরণ, সুস্থ সবল কোরবানির পশু তৈরিতে খামারিদের সার্বক্ষণিক টিকাদান, কৃমিমুক্তকরণ, চিকিৎসাসেবা ও খাদ্য ও পালন ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ প্রদান, ‘ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমে’র কোরবানির হাটে আগত পশুর স্বাস্থ্য সেবাদানের মাধ্যমে সুস্থ সবল পশু ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়া পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আমরা বিশ্বাস করি, এবারের পবিত্র ঈদ উল আযহা যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের ক্ষেত্রে চাহিদানুযায়ী কোরবানির পশু এদেশের আপামর কৃষক-খামারি- উদ্যোক্তারা সরবরাহ করতে সক্ষম হবেন এবং তাদের তৈরি পশুর উপযুক্ত মূল্য পেয়ে তাঁরাও হাসিমুখে ঈদ উদযাপন করবেন।

তথাপিও আশংকা থেকে যায়, শেষ মুহূর্তে বৈধ- অবৈধ যেকোনো উপায়ে দেশে ভারতীয় ও মায়ানমারের গরুর অনুপ্রবেশ না ঘটে। তেমনটি হলে আমাদের খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আর উৎসাহ উদ্দীপনা হারিয়ে আগামীতে তাঁরা এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবেন।

তাই এই মূহুর্তে জরুরি হল সরকারের সদিচ্ছা। দেশীয় খামারিদের স্বার্থরক্ষায় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।