ডেস্ক প্রতিবেদন, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বরবটি এক প্রকার সবজি। বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় সবজি। সারা বছরই এই সবজি চাষ করা যায়। বরবটির ভালো ফলন পেতে হলে সঠিক পদ্ধতিতে চাষ প্রয়োজন।

আসুন জেনে নিই যেভাবে বরবটি চাষ করলে অধিক লাভবান হওয়া যাবে:

মাটি: দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি বরবটি চাষের জন্য উপযোগী।

জাত নির্বাচন: কেগরনাটকীই অনেকদিন পর্যন্ত বরবটি একটি উন্নত জাত হিসেবে চাষ হয়ে আসছে। এখন অবশ্য বেশ কয়েকটি জাত চলে এসেছে। লাল বেণী, তকি, ১০৭০, বনলতা, ঘৃতসুন্দরী, গ্রীন লং, গ্রীন ফলস এফ১, সামুরাই এফ১ ইত্যাদি কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কয়েকটি জাত।

আরও পড়ুন: বরবটির পাতা হলুদ ও দাগ পড়া রোগের প্রতিকার
কেগরনাটকী জাতটি পৌষ-মাঘ মাস ছাড়া সারা বছরই চাষ করা যায়। মধ্য মাঘ থেকে মধ্য আশ্বিনে চাষ করা যায় ঘৃতসুন্দরী, গ্রীন লং। মধ্য ফাল্গুন থেকে মধ্য আশ্বিন পর্যন্ত চাষ করা যায় ১০৭০ জাতটি। উল্লেখিত জাতগুলোর রমধ্যে কেগরনাটকী ও লাল বেণী জাতের ফলন সবচেয়ে বেশি। তবে খেতে ভাল ঘৃতসুন্দরী।

সময়: বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে সাধারণত বীজবপন করা হয়। তাছাড়া আশ্বিন-অগ্রাহায়ণ মাসেও বীপবপন কর হয়। অন্যান্য সময়ও বোনা যেতে পারে।

বীজের পরিমাণ: প্রতি শতকে ১০০-১২৫ গ্রাম, হেক্টর প্রতি ৮-১০ কেজি।

জমি তৈরি:  ৪ – ৫ টি চাষ ও মই দিয়ে ভালভাবে জমি তৈরি করতে হয়।

সারের পরিমাণ:  প্রতি শতকে প্রতি হেক্টরে ইউরিয়া ১০০ গ্রাম ২৫০ কেজি, টি এস পি ৯০ গ্রাম ২২৫ কেজি, এমওপি ৭৫ গ্রাম ১৮৫ কেজি, গোবর ২০ কেজি ৫ টন ।

সার প্রয়োগ: গোবর, টিএসপি সম্পূর্ণ পরিমাণ ও অর্ধেক এমওপি সার শেষ চাষের সময় জমিতে প্রয়োগ করতে হয়। পরে বীজ বোনার ২০ দিন পর ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও বাকি অর্ধেক এমওপি সার জমিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।

বীজ বপন: ২ মিটার দূরত্বে সারি করে ২৫-৩০ সেমি. দূরে দূরে বীজ বুনতে হয়। জাত হিসেবে সারির দূরত্ব ১ মিটার বাড়ানো বা কমানো যায়।

আরও পড়ুন: বরবটির পাতা ও গাছে সাদা পাউডারের মতো দেখা গেলে যা করণীয়

যত্ন: চারা বড় হলে মাচা বা বাউনি দিতে হবে। জমিতে পানির যাতে অভাব না হয় সে জন্য প্রয়োজন অনুসারে সবসময় সেচ দিতে হবে। আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে। পোকামাকড় ও রোগ ব্যবস্থাপনা শিমের মতই। জাব পোকা, ফল ছিদ্রকারী পোকা ও মোজেইক রোগ বরবটি চাষের বড় সমস্যা।

ফসল সংগ্রহ : বীজ বোনার ৫০ – ৬০ দিন পর থেকেই বরবটি সংগ্রহ করা যায়। শতক প্রতি ফলন ৩০ – ৬০ কেজি, হেক্টর প্রতি১০ – ১২ টন।

যেভাবে বরবটি চাষে অধিক লাভবান হবেন শিরোনামে লেখাটি কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি