ডা. সাদ্দাম হোসেন, টার্কি বিশেষজ্ঞ, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: টার্কি পালন এখন লাভজনক হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন এ দিকে। অনেকেই আবার গল্প বা অন্যের দেখে শুরু করছেন। কিন্ত তেমন সফলতা পাচ্ছেন না।

টার্কি পালন করতে হলে প্রথমে বিশেষ গুরুত্ব দিতে পরিবেশের ওপর। ব্যবস্থাপনা ও বাসস্থান যত বেশি ভালো হবে তত বেশি সফলতা হাতের মুঠোয় আসবে। তাই এদিকে নজর দেয়া খুবই জরুরি।

যারা শুরু করেছেন তারা মিলিয়ে নিবেন আর যারা শুরু করতে যাচ্ছেন তারা ব্যবস্থাপনাটি জেনে নিবেন। পাঠক আজ এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরিবেশন করছেন এগ্রিকেয়ার২৪.কম এর নিয়মিত লেখক টার্কি ও পাখি বিশেষজ্ঞ এবং দক্ষ কনসালটেন্ট (পোষা পাখি, কবুতর, টার্কি) ডা: মো: সাদ্দাম হোসেন, ডিভিএম (সিভাসু)।

মূলত দুই ভাবে টার্কি পালনে সফলতা মিলবে। একটি হলো মুক্তভাবে অন্যটি হলো উন্মুক্ত ভাবে।

মুক্তভাবে পালন:  

উপকারিতা: এই উপায়ে প্রায় ৫০% খাবার খরচ কমে যায়। কম টাকায় পালন করা যায়। খরচ কম লাভ বেশি। এই পদ্ধতিতে প্রতি ১ একর এলাকায় ২০০-২৫০ প্রাপ্ত বয়স্ক টার্কি পালন করা যায়।

রাতে আশ্রয় নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে যেখানে প্রত্যেক টার্কির জন্য ৩ থেকে ৪ বর্গ ফিটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাদেরকে শত্রু বা শিকারি প্রাণী থেকে দূরে রাখতে হবে। গাছ রোপন করে ছায়া দেওয়ার ব্যববস্থা করতে হবে। কিছুদিন পর পর পুরাতন জায়গা পাল্টিয়ে নতুন জায়গায় যেতে হবে। যাতে কৃমির উপদ্রব কমে।

বদ্ধভাবে পালন: 

উপকারিতা: উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ে, ভাল ম্যানেজমেন্ট হয় এবং রোগ কম হয়। বাসস্থান: বদ্ধভাবে পালনের লাভ হলো টার্কিকে সূর্যের আলো, বৃষ্টি, বাতাস, শত্রু থেকে মুক্ত রাখা যায়। গরম অঞ্চলে টার্কির ঘর পূর্ব-পশ্চিম বরাবর হবে।

দুই ঘরের মধ্যে ন্যূনতম ২০ মিটার এবং বাচ্চাদের ঘরগুলোর প্রাপ্তদের থেকে নুন্যতম ৫০ থেকে ১০০ মিটার দূরে হবে। উন্মুক্ত ঘর গুলো চওড়ায় ৯ মিটার এর বেশি হবে না। ঘরের মেঝে থেকে ছাদের উচ্চতা ২.৬ থেকে ৩.৩ মিটারে মধ্যে হবে। এক মিটারের একটি ঝুলান দিতে হবে যেন পানির ছিটা ঘরের মধ্যে না ঢুকে। ঘরের মেঝে যথা সম্ভব কম দামি, টেকশই এবং নিরাপদ হতে হবে।

পাঠক কৃষির সব ধরণের খবরের পাশাপাশি পোষা প্রাণি ও পাখি পালন, পরিচর্যা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে নিয়মিত আমরা সংবাদ পরিবেশন করে থাকি। টার্কি নিয়ে সব নিউজ পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ এ্রগ্রিকেয়ার২৪.কম লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকবেন। প্রকাশিত সংবাদ চলে যাবে আপনার ফেসবুক ওয়ালে।