নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে কমেছে আদা, রসুন, কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দাম। প্রতিকেজি পেঁয়াজ ২৪ টাকা ও রসুন ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় ও দেশি পণ্যের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার (১১ মার্চ) হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতিটি সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৪ টাকায়। দুই দিন আগেও যা ছিল ৩২ টাকা। আদা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে, যা ৭০ টাকা ছিল। ৪০ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। ৮০ টাকার কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি।

পড়তে পারেন: দেশে ঢুকছে ভারতীয় পেঁয়াজ, কমলো দেশীর বাজার

হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে সবজির দাম কিছুটা কম পাচ্ছি। বিশেষ করে আদা, রসুন, কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দাম নাগালের মধ্যে এসেছে। তবে দাম আর একটু কমলে ভালো হতো।’

হিলি বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে নতুন রসুনের আমদানি হচ্ছে। যে কারণে দামও কমে গেছে। ভারতীয় আদা এবং পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে।’

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে নাসিক ও ইন্দোর এ দুই জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের চেয়ে আমদানি কিছুটা বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। একদিন আগেও যে নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৪০-৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল, বর্তমানে তা কমে ৩৫-৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৩৫-৩৬ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। কিন্তু আজ আরও কমেছে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী তোজাম হোসেন বলেন, বাজারে দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজের ভালো সরবরাহ ও দাম কম থাকায় দেশে আমদানীকৃত পেঁয়াজের চাহিদা কমে গিয়েছিল। যার কারণে পেঁয়াজ আমদানি করে লোকসান গুনতে চায়নি বন্দরের আমদানিকারকরা। সম্প্রতি মাঘের হঠাৎ বৃষ্টিতে পাবনা মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পেঁয়াজ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া পেঁয়াজ মৌসুম শেষ হওয়া ও বাজারে সরবরাহ কমায় দাম বাড়তির দিকে ছিল।

পড়তে পারেনদেশীর কাছে হার ভারতীয় পেঁয়াজের

উল্লেখ্য পেঁয়াজ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় বাংলাদেশ। এমনই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) গাজীপুর আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা ।

বিজ্ঞানীরা জানান, বারি-৫ পেঁয়াজ আগাম ও নাবি খরিপ মৌসুমে আবাদ উপযোগী। এটি স্বল্পমেয়াদি গ্রীষ্মকালীন হলেও সারা বছর চাষের উপযোগী উচ্চ ফলনশীল জাত। তাঁরা আরও জানান, দেশে পেঁয়াজের হেক্টরপ্রতি জাতীয় গড় ফলন ১০ দশমিক ৫৬ টন হলেও বারি পেঁয়াজ-৫ হেক্টরপ্রতি ১৬-২২ টন উৎপাদিত হয়। এই জাতের পেঁয়াজ চাষ হলে আমাদের দেশ একদিন পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ