নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চলমান করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে রাজশাহীর কাঁচাবাজরে আগুন। কাঁচামরিচের কেজি ২৪০, সেইসাথে বেড়েছে মুরগির দাম। প্রায় দেড় মাস ধরে বাড়তি কাঁচামরিচের দাম। মাঝখানে কিছুটা কমলেও আবারো ২ সেঞ্চুরি পার করেছে এই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। বন্যায় মরিচের ক্ষতির কারণে পর্যাপ্ত আমদানি না থাকায় এমন দাম বেড়েছে বলে জানান সবজি বিক্রেতারা।

আজ শুক্রবার ২১ আগস্ট ২০২০ রাজশাহীর সাহেববাজার, নিউমার্কেট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, আধাকেজি কাঁচামরিচ ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা এবং এককেজি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। ভালো মানের কাঁচামরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ব্রয়লার মুরগি ১১৫ টাকা থেকে ৫ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা এনামুল এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কাঁচামরিচের দাম বাড়া স্বাভাবিক। বন্যার পানিতে মরিচের ক্ষতি হয়েছে। পানি উঠলে মরিচের গাছ মরে যায়। তবে পানি উঠার সময়টাতে মরিচের দাম কিছুটা কমলেও আবার বেড়েছে।

সাহেব বাজারের সবজি ব্যবসায়ী কামাল হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে জানান, রাজশাহীর বেশ কয়েক উপজেলাসহ আশে-পাশের বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।বানে মৌসুমী সবজির ক্ষতি হয়েছে। আগে ক্রেতারা কিনত হাঁফ কেজি আর এখন কিনছে ২’শ গ্রাম। দাম বাড়ার কারণে বেঁচাবিক্রিও কম।

তিনি জানান, বাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, সাদা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, আলু ৩০-৩২ টাকা, শশা ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫ টাকা, চাল কুমড়া ২৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, দেশি গাজর ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকা।

এছাড়া প্রতি কেজি লাল শাক ৩০ টাকা, পুঁইশাক ও সবুজ শাক ২০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচা কলা ২০ টাকা, প্রতি হালি লেবু ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, কচু ৪০ টাকা, কচুর লতি ৩৫ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা, প্রতিহালি সাদা ডিম ২৮ টাকা ও লাল ডিম ৩২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও ভোজ্য তেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮০-৯০ টাকা, বোতলজাত তেল ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।

মাছের বাজারে রকমভেদে দাম উঠানামা করতে দেখা গেছে। বাজারে রকমভেদে ইলিশ ৬০০-৭০০টাকা, সিলভার কার্প ১৪০-১৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৬০-১৮০ টাকা, চিংড়ি ও গলদা চিংড়ি ৯০০ টাকা, পাবদা ৩০০-৪০০ টাকা,কালবাউশ ১৮০ কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও রুই মাছ ওজনভেদে প্রতিকেজি ২৫০- ৩০০ টাকা, কাতল ২২০ টাকা, শিং ৪০০-৬০০ টাকা, তেলাপুয়া ১২০ টাকা, ট্যাংরা ৪৮০-৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে সকল ধরনের মাংসের দাম স্থির আছে। বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫২০-৫৪০ টাকা, খাশি ৭২০ টাকা,হাঁস ২৬০টাকা, ব্রয়লার ১২০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৩০-২৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

গত ১০ দিনে রাজশাহীর বাজাওে স্থিতিশীল চালের বাজার। পুরাতন আঠাশ চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দু- এক টাকা করে বৃদ্ধি পেয়ে শরনা ৪৬, জিরাশাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা ও বাসমতি ৬০ টাকা, পায়জাম ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৬০, কাটারিভোগ সিদ্ধ ৭৫ টাকা, কাজললতা ৬৫, কালোজিরা ৯০, চিনিগুঁড়া আতপ ৯৫, রাধুনি ৮০, মোটা আতপ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।