আব্দুল বাতেন, রাজশাহী প্রতিনিধি, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চৈত্র মাসের খরায় পুরছিলো গাছপালা আর প্রকৃতি। অবশেষে একপশলা বৃষ্টি এনে দিয়েছে স্বস্তি। শুধু তাই নয়, রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান অর্থকরি ফসল আমে এই বৃষ্টির পর আর সেচ দেয়ার প্রয়োজন হবে না চাষীদের।
চাষীরা যেমন সেচ দেয়ার খরচ এবং খাটুনি থেকে বাঁচলেন, তেমনি এই বৃষ্টির কারণে আম ঝরে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। ফলে বাড়বে ফলন।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রাজীব খান এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে জানান, শুক্রবার বিকেলে দমকা হওয়া শেষে এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এতে চাষীদের আফসোস ছিলো আরেকটু বৃষ্টির। ভোরে সেই আফসোসই যেনো পুষিয়ে দিলো প্রকৃতি।
ভোরে হালকা বাতাস শেষে সাত দশমিক ছয় মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। যে গতিতে বাতাস হয়েছে তা ঝড় নয় বলেও জানান তিনি।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার আমচাষী সিরাজুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে জানান, হালকা বাতাসের পর ভোরে বেশ ভালো বৃষ্টি হয়েছে। এতে তার বাগানের ৪০০ আমগাছে আর সেচ দেয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। এতে অন্তত ২০ হাজার টাকা সেচের খরচ কমেছে। একই সঙ্গে আম ঝরে যাাওয়া কমবে বলেও মনে করেন তিনি।
গোদাগাড়ীর আম ব্যবসায়ী ইব্রাহিম ও ইসরাইল বলেন, আমাদের চারটি আম বাগানে গত ১৫ দিনের প্রখর রোদে আম গাছের গুটির গোড়া গুলো শুকিয়ে আসছিলো। শুক্রবার বিকেলে হালকা বৃষ্টি হওয়াতে এতে আমের ভালই হয়েছে। আম গুলো গাছে শক্ত ভাবে ধরে রাখবে বলে জানান।