নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীর বাজারগুলো মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজে দু-এক টাকা কমে বেড়েছে ৮ থেকে ৯ টাকা পর্যন্ত। পেঁয়াজের দাম বাড়ায় খুশি রাজশাহীর পেঁয়াজ চাষিরা।

সোমবার ( ৮ মার্চ ২০২১) রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি সপ্তাহের শনিবার থেকে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। দুদিনের মধ্যে ২৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ একলাফে ৩৫ টাকা হয়েছে। ক্রেতারা বিড়ম্বনায় পড়ার কারণে বিক্রি কমে গেছে বলেও জানান তারা।

এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ মসলা পণ্যের দাম বাড়ায় হাঁফছেড়ে বাঁচল চাষিরা। তারা বলছেন, উৎপাদন খরচের সাথে বিক্রির বাজারদর মিলে গেলে লোকসান গুনতে হয়। দাম নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন তারা। পাইকারি বাজারে ৮’শ টাকা মণ পেঁয়াজ বিক্রি করে কোন লাভ হয়না বলে জানান কৃষকরা। হটাৎ দাম বাড়ার কারণে পেঁয়াজ পাইকারিতে ১৩’শ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। এতে কিছুটা আশার মুখ দেখছেন চাষিরা।

রাজশাহীর সাহেববাজর মাষ্টারপাড়া এলাকার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, খুচরা বাজারে ১৮০ টাকা পাল্লা বিক্রি করছি। এককেজি ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছি। রসুনের দাম আগের মতোই ৬০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

এই ব্যবসায়ী আরোও বলেন, পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। প্রতিবছর রোজায় মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এবার উল্টো হতে পারে। নতুন পেঁয়াজ আসতে আর ১৫-২০ দিন বাঁকি আছে। সেক্ষেত্রে রোজায় দাম খুব একটা বাড়বে বলে মনে হয় না।

আরেক ব্যবসায়ী আবু বক্কার এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, রোজা আসলে পেঁয়াজের দাম হয়ত বাড়তে পারে। তবে, নতুন পেঁয়াজ আসার আগ মুহূর্তে পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা লাগার সম্ভাবনা জোরালো। তিন দিনে বাড়ছে ১০ টাকা। আগামী তিন-চার দিনে ৪০ টাকা পেরিয়ে যেতে পারে। কৃষকরা অন্তত বাঁচবে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কমে গেছে বলেও জানান এই পেঁয়াজ ব্যবসায়ী।

দাম বাড়তে পারে এমনই আভাস দিয়েছে পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতারা। তারা বলছেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ার তেমন কোন কারন নাই। তবে, দেশে যে পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে তা মানুষের খাবারের মূল জায়গায় রয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজে ক্রেতাদের আগ্রহ নেই। এক্ষেত্রে নতুন পেঁয়াজ আসার আগে দাম বাড়তে পারে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ