নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২০ টাকা করে বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পেঁয়াজ রোপনের মৌসুমে ঘাটতি হয়েছে এবং দেশি পেঁয়াজের মজুদ ফুরিয়ে আসায় এই দাম বেড়েছে।

তারা আরো জানান, দেশি পেঁয়াজের যে মজুদ ছিল তা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। এ কারণে এখন পেঁয়াজের দাম বাড়তি। তবে মুড়ি কাটা (পাতাসহ) পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। তাই এবার পেঁয়াজের দাম খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা কম।

আজ শনিবার রাজশাহীর সাহেববাজার মাস্টারপাড়া সবজিবাজার, উপশহর নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা মান অনুযায়ী দেশি পেঁয়াজের কেজি প্রতি বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।

দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি দাম বেড়েছে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের। দুদিন আগে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া আমদানি করা পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।

সাহেববাজার মাস্টারপাড়া সবজিবাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর পেঁয়াজ রোপনের মৌসুমে পেঁয়াজের ঘাটতি হয়। পুরাতন পেঁয়াজ বাজারে আসা বন্ধ হয়ে যায়। এসময় ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশের মানুষ বেশি খায়। যখন পাতাযুক্ত মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসে তখন দাম কমে যায়। এই ব্যবসায়ী আরো জানান, সপ্তাহের শুরুতে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করেছি ৪০ টাকা করে। এখন সেই পেঁয়াজের কেজি ৬০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। হঠাৎ করেই পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। তাই আমরা বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। বেশি দামে কিনলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। তাছাড়া আমাদের উপায় নেই।

আরেক ব্যবসায়ী ছাত্তার হোসেন বলেন, এবার খুববেশি পেঁয়াজের দাম বাড়বে না। নতুন পেঁয়াজ চলে আসছে বাজারে। মুড়িকাটা পেঁয়াজ আর শুকনা পেঁয়াজ একই দামে বিক্রি করছি। দু-পাঁচ টাকা কমবেশি আরকি। অল্প কিছুদিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ হরদম বাজারে চলে আসবে। তখন আর এ দাম থাকবে না।

নতুন পেঁয়াজের আমদানি বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কেজেএম আব্দুল আউয়াল বলেন, আগাম রোপনকৃত কিছু পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। ৩ সপ্তাহের মধ্যে আমদানি বেড়ে যাবে। তখন এ দাম থাকবে না।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ