নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে কাঁচামরিচ ডিমের দাম। তবে স্থিতিশীল রয়েছে চালের দাম।নতুন বছরের শুরু থেকে প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। কিন্তু দাম কমেছে এক দিনের মধ্যেই।

আজ সোমবার ৯ জানুয়ারি প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে ১০ টাকা। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। এতে খামারিরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, খাঁশি ১০০০ টাকা, হাঁস ৩৫০টাকা, সোনালী মুরগি ২৩০-২৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজশাহীর সাহেববাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, কাঁচামরিচের কেজি ৪০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় অন্যান্য মাছের দাম কমেছে। প্রায় সব ধরনের মাছেরই কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা দাম কমেছে। রুই মাছের কেজি ২৪০ টাকা থেকে কমে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজি থেকে বেশি এ গ্রেডের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়।

এছাড়া নগরীর সাহেব বাজারে, সিলভার কার্প ১৪০-১৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৬০-১৮০ টাকা, চিংড়ি ও গলদা চিংড়ি ৬০০ টাকা, পাবদা ৩০০-৪০০ টাকা,কালবাউশ ১৮০ কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও রুই মাছ ওজনভেদে প্রতিকেজি ২৫০- ৩০০ টাকা, কাতল ২২০ টাকা, শিং ৪০০-৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ টাকা, ট্যাংরা ৪৮০-৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সোমবার রাজশাহীর সাহেববাজার, নিউমার্কেট ও লক্ষিপুর কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। ।

এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি এক’শ সাদা ডিমে দাম বেড়েছে পাঁচ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি প্রতি এক’শ সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে প্রতি এক’শ লাল ডিমের দাম ৯২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, রাজশাহীতে চালের বাজার স্থিতিশীল, বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। পুরাতন আঠাশ চাল ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দু- এক টাকা করে বৃদ্ধি পেয়ে শরনা ৪৮, জিরাশাল ৫২ টাকা ও বাসমতি ৬৫ টাকা, পায়জাম ৫৫ টাকা, নাজিরশাইল ৬০, কাটারিভোগ সিদ্ধ ৭৫ টাকা, কাজললতা ৬৫, কালোজিরা ৯০, চিনিগুঁড়া আতপ ১০০, রাধুনি ৮০, মোটা আতপ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বলে এগ্রিকেয়ার.কমকে জানিয়েছেন পাইকারি ও খুচরা চাল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সুশিল স্টোর।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ