জেলা প্রতিনিধি, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীতে প্রতিকেজি ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। ঈদের আগে কিছুটা ভালো থাকলেও এখন কমছে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের সময় মাংসের দাম কিছুটা চড়া থাকলেও এখন আবার কমতে শুরু হয়েছে। খামারিরা এমন দামে বিক্রি করলে বেশি লাভ করতে পারবে না। অনেকে লোকসান গুনবেন বলেও জানান তারা।

আজ শনিবার (২২ মে ২০২১) বাজারে গরুর মাংস দশ টাকা বেড়ে ৫৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও খাশির মাংস ৮০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

পাইকারি ও খুচরা মুরগি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, ঈদের আগে ব্রয়লার ১৪৫ টাকা বিক্রি করলেও এখন ব্রয়লার মুরগি ১২৫-১৩০ টাকা। সোনালী মুরগি ২৪০ টাকা থেকে সোনালী ২২৫ টাকা, লেয়ার ২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৪৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু লেয়ার সাড়ে ৪’শ টাকা কেজি ছিল, ১০ টাকা কমেছে।

মুরগি ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, কয়েকদিন আগেও ব্রয়লার ১৪০ টাকা, সোনালী ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এছাড়াও লেয়ার ও দেশি মুরগির দামও কেজি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। কিন্তু আগে দাম ভালোই ছিল।

এদিকে সবজির বাজার বাড়তে শুরু করেছে। কেজিতে বেড়েছে দুই-এক টাকা। ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম কম। এখন পর্যাপ্ত সবজি রয়েছে বাজারে।

রাজশাহীর সাহেববাজার মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজার ঘুরে জানা গেছে, বেগুন ১৫-২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১৫ টাকা, বরবটি ২০-২৫ টাকা, করলা ৪০ টাকা, সজনে ডাটা ৬০-৭০ টাকা, ঢেড়স ২০ টাকা, পটল ৩০-৩৫ টাকা, ঝিঙে ২০-২৫ টাকা, কচুর লতি ৩০-৩৫ টাকা, পেঁেপে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

মসলার বাজারে দেখা যায় বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৬-৩৮ টাকা, আদা ৬৫-৭০ টাকা, রসুন ৬৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা ও শুকনো মরিচ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

বাজারে বোতলজাত প্রতি পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল ৬৪৫ টাকা ও সরিষা প্রতি কেজি ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি কেজি চিনি ৬৮ টাকা, মসুর ডাল ১০০ টাকা, সোনামুগ ১৪০ টাকা, ছোলাবুট ৬৭ টাকা, খেসারি ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯০ টাকা, মটর ৯৫ টাকা ও এ্যাংকর ডাল ৪৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিপণন স্টোর শাহ আলম এ্যান্ড সন্স।

মাছের বাজারে রকমভেদে প্রতি কেজি ইলিশ ৮০০-১২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এসময় বিক্রেতা ওবায়দুল ইসলাম বলেন, মাছের আমদানি নাই। গাড়ীঘোড়া বন্ধ। কিভাবে আমদানি হবে? তাই দাম কমেনি।

এছাড়া অন্যান্য মাছের মধ্যে রকমভেদে মৃগেল ১২০-১৮০ টাকা, রুই ১৬০-২২০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ টাকা, সিলভার ৯০-১৫০ টাকা, কালবাউস ১৫০ টাকা, তেলপিয়া ১৪০ টাকা, শোল মাছ ৪০০ টাকা, ট্যাংরা ৬০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা ও টাকি মাছ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এদিকে বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন চাল। নতুন চালের দাম কিছুটা কম হলেও পুরোনো চালের দাম স্থির রয়েছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রতি কেজি স্বর্ণা ৪৫ টাকা, নতুন আটাশ ৫০-৫২ টাকা, পুরোনো আটাশ ৫৫ টাকা, নতুন মিনিকেট ৫২-৫৫ টাকা, পুরোনো মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, অটো স্বর্ণা ৪৫-৪৬ টাকা, পোলাও চাল ৮০-৯০ টাকা, কাটারীভোগ ৭০ টাকা, গোল্ডেন পোলাও চাল ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

নগরীর সাহেববাজারের ‘আল্লাহর ঘর চাউল ঘর’ এর প্রোপাইটার মো. নান্নু মিয়া বলেন, বাজারে নতুন আসা চালের দাম কিছুটা কম। তবে পুরোনো চালের দাম আগের মতই রয়েছে। কৃষকরা যদি ধান ঠিকভাবে কাটতে ও সংরক্ষণ করতে পারেন, তাহলে চালের দাম আরেকটু কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ