নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: রাজশাহীতে এক সপ্তাহ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন সবজি। হটাৎ করে বেড়ে যাওয়া আলুর দাম ৫-৭ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৫ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিলেও সে অনুযায়ী কমেনি আলুর দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আড়তে আলু নেই। আলু যেগুলো ছিল সবগুলো আগের আলু। হটাৎ আলু বাজারে কমে গেছে। অন্যান্য সবজির দাম বেশি হওয়ায় আলু কেনার ওপর ঝোঁক ছিল। আমাদের দাম নির্ধারণ করে দিলেই তো আর সেই দামে বিক্রি করতে পারি না। বেশি দামে কিনে লোকসান দিয়ে বেঁচা যাবে না। আড়তে দাম কমাতে হবে।’

সরকার নির্ধারিত দামে চাল ও আলু কোনটাই বিক্রি হচ্ছে না রাজশাহীতে। ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছেমত বিক্রি করছেন এসব পণ্য। বাজার মনিটরিংয়ের কথা থাকলেও রাজশাহীর বাজারে মনিটরিং নেই বললেই চলে।

সরকার ৩০ টাকা কেজি দর বেধে দিলেও শুক্রবার রাজশাহীর খুচরা বাজারগুলোতে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে।

রাজশাহীর মনিচত্ত্বর এলাকার সবজি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে জানান, পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, বেগুন ৬০, ঢেঁড়স ৫০, করলা ৮০, কচু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছড়াও কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা ও শশা ৬০ টাকা কেজি দরে।

অপরদিকে, চালের বাজার সরকারি কোন পদক্ষেপেই সিন্ডিকেট মুক্ত যাচ্ছে না। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে অসাধু ব্যবসায়ী, মজুদদার ও সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মূল্য নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত ৭টি মনিটরিং টিম। কিন্তু তারপরও সিন্ডিকেট মিল মালিকদের কারসাজি বন্ধ হচ্ছে না। বরং কোনো কারণ ছাড়াই অস্থির হয়ে উঠছে চালের বাজার।

পাইকারি ও খুচরা বাজারে, আঠাশ চাল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দু- এক টাকা করে বৃদ্ধি পেয়ে শরনা ৪৮, জিরাশাল ৫২ টাকা ও বাসমতি ৬০ টাকা, পায়জাম ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৬০, কাটারিভোগ সিদ্ধ ৭৫ টাকা, কাজললতা ৬০, কালোজিরা ৯০, চিনিগুঁড়া আতপ ৯৫, রাধুনি ৮০, মোটা আতপ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে ।

রাজশাহীর সাহেববাজার চাল ব্যবসায়ী মেসার্স সুশিল ট্রেডার্স এর মলিক সুশিল বলেন, ‘আমরা বেশি দামে চাল কিনছি। ফলে সরকার নির্ধারিত দামে আমরা বিক্রি করতে পারছি না। বেঁধে দেয়া দামে কোন প্রতিষ্ঠানই চাল দিতে পারে না। তাদের লোকসানের কারণে এটি করতে পারছে না। ফলে আমরাও বিক্রি করতে পারছি না।’

এ বিষয়ে রাজশাহী ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক অপূর্ব অধিকারী এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, আমরা বাজার মনিটর করছি। তবে সরকার নির্ধারিত দামে আলু খুব তাড়াতাড়ি বিক্রি হবে না। এটার কিছু কারণ রয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আলুর দাম চল্লিশের নিচে নেমে যাবে। আগে যা ছিল তা থেকে অন্তত ৫ টাকা কমেছে তো।

এদিকে, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫২০ থেকে ৫৫০ টাকায়, খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি ১১০ টাকা, সোনালী মুরগি ১৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, প্রতিহালি সাদা ডিম ৩২ টাকা ও লাল ডিম ৩৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও ভোজ্য তেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে বেড়েছে ১০ টাকা। প্রতিলিটার ১০০থেকে ১১০ টাকা, বোতলজাত তেল ১১৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।

 

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ