নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: সদ্য প্রস্তাবিত বাজেটে ‍দেশের দুগ্ধ খামারিদের দাবি মেনে না নেয়াসহ একাধিক দাবিতে রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানালেন খামারিরা।

এসময়ে দেশের দুগ্ধ খামারিদের নিয়ে গড়ে ওঠা সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত বাজেটে কনসেশনারি কাস্টমস ডিউটি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে মাত্র ১০ শতাংশ করার প্রতিবাদ ও নিম্নমানের ভর্তুকি প্রাপ্ত গুঁড়া দুধের উপর এন্টি ডাম্পিং ট্যাক্স আরোপ ও আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছে।



প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রস্তাবিত বাজেটে কনসেশনারি কাস্টমস ডিউটি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে মাত্র ১০ শতাংশ করায়।

আজ শনিবার (জুন ২২) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে দুধ ঢেলে এই প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংগঠনটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তুলে ধরেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন। এ সময়ে তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজটে নিম্নমানের ভর্তুকি প্রাপ্ত গুঁড়া দুধের উপর এন্টি ডাম্পিং ট্যাক্স আরোপ ও আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছিলো বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন।

অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে কনসেশনারি কাস্টমস ডিউটি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে মাত্র ১০ শতাংশ করা হয়েছে। যা আসলে দুগ্ধ খামারিদের কোন কাজেই আসবেনা।

কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, এইচএস কোডে কাস্টমস ডিউটি ১০ শতাংশ থাকলেও আমদানিকারকরা গোপনে এসআরও করে এনবিআর থেকে ৫ শতাংশ কনসেশন নিয়ে শুল্ক কমিয়ে এনেছিলো যা খামারিরা জানতে পারেনি। এসব কারণে দেশে দুগ্ধ শিল্পের কোন লাভই হয়নি বিগত অর্থবছরে।

একইসঙ্গে বিগত ১৫ বছরে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে খামারিদের তরল দুধের ন্যায্য দাম সরকার থেকে নিশ্চিত করা এবং সঠিক বাজারজাত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন: দৈনিক অন্তত ২৫০ মিলিলিটার দুধ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি রাকিবুর রহমান টুটুল, সাধারণ সম্পাদক শাহ এমরানসহ বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন অধিদফতরের কর্মকর্তারা

ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে অন্যান্যের দাবির মধ্যে ছিলো দুগ্ধ প্রসেসিং কোম্পানিদের সঙ্গে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামে তরল দুধের দাম সমন্বয়, এলাকাভিত্তিক খামারিদের দুধ সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা তৈরি করা, ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকার থেকে দায়িত্ব নিয়ে সচেতনতামূলক টিভিসি প্রোগ্রাম করা, গো-খাদ্য আমদানিতে সকল শুল্ক প্রত্যাহার করা, আধুনিক খামারভিত্তিক সকল বৈদেশিক যন্ত্রপাতি আমদানিতে সকল শুল্ক প্রত্যাহার করা, বাণিজ্যিক নয় বরং কৃষির আওতায় দুগ্ধ খামারের বিদ্যুৎ ও পানির বিল আনা, পোল্ট্রি ও মৎস শিল্পের মত দুগ্ধ খামারিদের আগামী ২০ বছরের জন্য আয়কর মুক্ত বা ট্যাক্স হলিডে দেয়া এবং স্বল্প সুদে খামারিদের ঋণ বিতরণ। এসব যেন আসন্ন বাজেটে সমন্বয়ের জন্যে বলা জোর দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে ক্ষোভে রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানালেন খামারিরা