অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: গত বছর ফিলিপাইনে রেকর্ড পরিমাণ চাল উৎপাদন হয়েছিল। যদিও আমদানিনির্ভর দেশ হিসেবে পরিচিত দেশটি। তবে, বর্তমানে আমদানিনির্ভরতা কমানোর জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগের ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস।

সম্প্রতি এক পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানায়, গত বছর ফিলিপাইন ১ কোটি ২৪ লাখ টন চাল উৎপাদন করেছিল, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ। ২০২২-২৩ মৌসুমেও চাল উৎপাদন এক রকম থাকবে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ বছর চাল আমদানি গত বছরের তুলনায় ২ লাখ টন কমতে পারে। আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে ২৮ লাখ টনে।

পড়তে পারেন: শ্রীলঙ্কায় চালের কেজি ৫০০ টাকা

অন্যদিকে কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধের কারণে সরবরাহ জটিলতা এবং ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে দেশটির গম আমদানি ৩ শতাংশ কমতে পারে। আমদানির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬৩ লাখ টনে। ২০২২-২৩ মৌসুমে শস্যটির ব্যবহার ৩ লাখ ৫০ হাজার টন কমে ৬২ লাখ ৫০ হাজার টনে নামতে পারে। অতিরিক্ত দামের কারণেই ব্যবহার কমবে। পশুখাদ্য হিসেবে শস্যটির চাহিদা দাঁড়াবে ২৪ লাখ টনে, যা আগের মৌসুমের তুলনায় ৩ লাখ টন কম।

ইউএসডিএ বলছে, কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চলে চলমান যুদ্ধ গমের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছে। ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে পশুখাদ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প হিসেবে যবকে বেছে নিয়েছে।

যবের পাশাপাশি অনেক পশুখাদ্য উৎপাদক ভুট্টাও ব্যবহার করছে। ফলে শস্যটির চাহিদা বাড়ছে। ইউএসডিএ বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে ভুট্টা আমদানি ৫০ হাজার টন বেড়ে ৭ লাখ ৫০ হাজার টনে উন্নীত হতে পারে। ২০২২-২৩ মৌসুমে ফিলিপাইনে ভুট্টা উৎপাদন ৮৩ লাখ টনে পৌঁছার পূর্বাভাস মিলেছে।

এগ্রিকেয়ার/এমএইচ