নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: চলতি বোরো মৌসুমে ৮ লাখ টন ধান এবং ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল ও দেড় লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৬ টাকা কেজি দরে ধান, ৩৬ টাকা কেজি দরে সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে আতপ চাল কেনা হচ্ছে। বোরো ধান গত ২৬ এপ্রিল থেকে কেনা শুরু হয়েছে। ৭ মে থেকে শুরু হয়েছে চাল সংগ্রহ। অপরদিকে ধান-চাল কেনার সময় শেষ হতে আর মাত্র আটদিন বাকি। কিন্তু এখনো লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও সংগ্রহ করতে পারেনি সরকার।

সব মিলিয়ে চলতি বোরো মৌসুমে সরকার প্রায় ২০ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকও ধান-চাল সংগ্রহ না করতে পারার কারণ হিসেবে চালকল মালিকদের দায়ী করছে সরকার। চালকল মালিকরা বোরো সংগ্রহে অসযোগিতা করায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

অসহযোগিতা করা চালকল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ গত ১০ আগস্ট আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।

খাদ্য অধিদফতরের ১৮ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৮ লাখ টন ধান এবং ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল ও দেড় লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত এক লাখ ৯০ হাজার টন বোরো ধান, প্রায় ৫ লাখ টন সিদ্ধ চাল এবং ৬৮ হাজার টন আতপ চাল কেনা হয়েছে।

খাদ্য অধিদফতরের চিঠিতে বলা হয়, চলতি বোরো মৌসুমে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল ও দেড় লাখ টন আতপ চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে গত ৭ মে থেকে সংগ্রহ চলমান রয়েছে। অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহের মেয়াদ আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারিত আছে।

‘বর্তমানে দেশে সংগ্রহের জন্য কিছুটা প্রতিকূল পরিবেশ বিরাজমান রয়েছে। এ প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও যেসব সিদ্ধ/আতপ চালকল মালিকরা সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছেন এবং চুক্তি অনুযায়ী পুরো চাল সরবরাহ করেছেন/করবেন সেইসব চালকল মালিকদেরকে অধিদফতরের পক্ষ থেকে ইতিবাচক মূল্যায়ন করা হবে।’

আর চুক্তি সম্পাদনের জন্য আদিষ্ট হয়েও যেসব চালকল মালিক চুক্তি সম্পাদন করেননি তাদের লাইসেন্স স্থগিতের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও চিঠিতে জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, যেসব সিদ্ধ/আতপ চালকল মালিকরা চুক্তি অনুযায়ী চাল সরবরাহ ব্যর্থ হতে যাচ্ছেন ও সরকারি সংগ্রহের লক্ষ্য অর্জনে অসহযোগিতা করছেন, সংগ্রহ মৌসুম শেষ হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে চুক্তিপত্র ও চালকল লাইসেন্স ইস্যু সংক্রান্ত বিধি-বিধানসহ প্রাসঙ্গিক আইনবিধি অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।