সমীরন বিশ্বাস, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: লাউ প্রধানত শীত মৌসুমের। শীতকালে ফলন বেশি। এটি উচ্চতাপ ও অতিবৃষ্টি সহিষ্ণু ফলে সারা বছরও জন্মানো যায়। তবে, লাউ ও মিষ্টি কুমড়া চাষে চাষিরা সবচেয়ে বেশি যে সমস্যার সম্মুখীন হন তা হলো কড়া পচা রোগ। আসুন জেনে নিই লাউ ও মিষ্টি কুমড়ার কড়া পচা রোধে যা করবেন।

লাউয়ের পাতা সবুজ ও নরম। পুরুষ ও স্ত্রী ফুল যথাক্রমে রোপণের ৪২-৪৫ দিন এবং ৫৭-৬০ দিনের মধ্যে ফুটে। হালকা সবুজ রঙয়ের ফলের আকৃতি লম্বা (৪০-৪৫) এবং বেড় প্রায় ৩০-৩৫ সেমি.। প্রতি ফলের ওজন ১.৫-২ কেজি। প্রতি গাছে গড়ে ১০-১২টি ফল ধরে। চারা রোপণের ৬০-৭০ দিনের মধ্যে প্রথম ফল তোলা যায়।

বাংলাদেশের সব এলাকায় সারা বছরই এর চাষ করা যায় শীতকালীন চাষের জন্য ভাদ্রের প্রথমে আগাম ফসল হিসেবে চাষ করা যাবে।

মিষ্টি কুমড়া বর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ। মিষ্টি কুমড়ার শিকড় যথেষ্ট বিস্তৃত। কচি মিষ্টি কুমড়া সবজি হিসেবে এবং পাকা ফল দীর্ঘদিন রেখে সবজি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পরিপক্ক ফল শুষ্ক ঘরে সাধারণ তাপমাত্রায় প্রায় ৪-৬ মাস সংরক্ষণ করা যায়। মিষ্টি কুমড়া ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রনে কাজ করে।

করা পচা (রট) রোগের কারনঃ
১, পরাগায়ন না হওয়া
২, মাছি পোকা আক্রমন
৩, পুষ্টির অভাব( পটাশিয়াম)
৪, পানির অভাব
৫, আলো বা বাতাসের অভাব
৬, অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার
৭, আঘাতের কারনে
৮, মোজাইক ভাইরাসের কারনে
৯, অতি পানি জমে থাকার কারনে

জৈব সমাধানঃ
১, খেতে হলুদ আঠালো ফাদ ব্যবহার
২, মাছি পোকা দমনে সেক্স ফেরোমন ব্যবহার
৩, ফলে পলি প্যাক ব্যবহার
৪, মাটি তৈরীতে ফসফরাস ও পটাশিয়াম পরিমিত ব্যবহার করা
৫, ছায়াতে লাউ চাষ না করা
৬, জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা
৭, নিয়মিত সেচ দেয়া
৮, কোন ভাবে ফলে যেন আঘাত না লাগে
রাসায়নিক ব্যবস্থাঃ
১, কার্বোডাইজিম গ্রুপের – এগবেন এবং
২, ডাইক্লোরান গ্রুপের- আর্নিলিন নিয়ম মত ব্যবহার করুন

অনুখাদ্যঃ
নিয়ম মত বোরন, পটাশিয়াম, ফসফরাস ব্যবহার করুন।

লেখক: সমীরন বিশ্বাস, লিড-এগ্রিকালচারিস্ট, মদিনা টেক লিমিটেড, ঢাকা।
[email protected] ০১৭৪১১২২৭৫৫