ডেস্ক প্রতিবেদন: ফেলে দেওয়া কচুরিপানা বিক্রি করে মাসে লাখ টাকা আয় করছেন পিরোজপুরের আলমগীর হোসেন মোল্লা। ভরা মৌসুমে প্রতিমাসে ১০ টনের বেশি কচুরিপানা বিক্রি করেন দাবি তার। তিনি দাবি করেন গত এক থেকে দেড় বছরে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার শুকনো কচুরিপানা বিক্রি করেছেন।

নাজিরপুররের দেউলবাড়ির দোবরা ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের ফেলে দেওয়া কচুরিপানায় শতশত মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। কচুরিপানা এখন যোগান দিচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। কচুরিপানা থেকে তৈরি হওয়া কুটির শিল্প বিদেশে রপ্তানি করে আয় হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

কচুরিপানাকে আয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন পিরোজপুরোরের দোবরা ইউনিয়নের মানুষ। তারা শুকনো কচুরিপানা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে। প্রথমে জলাশয় থেকে ১৮ ইঞ্চি মাপের কচুরিপানা সংগ্রহ করা হয়। পরে সেগুলো কেটে তিন থেকে চার দিন রোদে শুকানোর হয়। পরে ওজন দিয়ে সেগুলো বিক্রি করা হয়।

আলমগীর মোল্লা বলেন, ২০ বছর পূর্বে এক কুটির শিল্প কারখানায় কচুরিপানা বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করেছিলেন ‍তিনি। পরে সেখানে কচুরিপানা নেওয়া বন্ধ হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় তার ব্যবসা। সেই সময় তিনি ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন।

আজ থেকে তিন বছর পূর্বে একজন আত্মীয়ের মাধ্যমে রংপুরের একটি কুটির শিল্প কারখানায় কচুরিপানা সরবরাতের কাজ পান। স্থানীয়দের কাছ থেকে তিনি শুকনো কচুরিপানা সংগ্রহ করে সেগুলো রংপুরে পাঠান। কুটির শিল্প কারখানায় এগুলো দিয়ে বাহারি বিভিন্ন জিনিস তৈরি হয়।