লিলিয়াম ফুল

ফসল ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বাণিজ্যিকভাবে আকর্ষণীয় এ ফুলের চাষাবাদে অনেক বেশি লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি কেউ বাড়ির ছাদে বা বেলকোনিতেও চাষ করতে পারেন। লিলিয়াম ফুলের চাষ ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।

জাতের নাম: বারি লিলিয়াম-১। বৈশিষ্ট্য: এটি একটি কন্দজাতীয় ফুল। ফুলের রং সাদা। ফুলের স্টিকের দৈর্ঘ্যঃ ৭৮-৮০সেমি.। প্রতি স্টিকে ফ্লোরেটের সংখ্যা: ৭-৮টি। ফ্লোরেটের প্রস্থ: ১৮ থেকে ২০সেমি.। ফুলের সজীবতা প্রায় ১০-১২ দিন।

উপযোগী এলাকা: বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকার কৃষি পরিবেশগত অবস্থায় সহজেই চাষ করা সম্ভব বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের নিম্ন তাপমাত্রা এ ফুলের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। তবে যশোর, ঝিনাইদহ, ঢাকা ও রংপুর এলাকায় এ জাতের চাষাবাদ বেশি হচ্ছে।

বপনের সময়: বাংলাদেশে অক্টোবর-নভেম্বর মাস লিলিয়াম বাল্ব লাগানোর উপযোগী সময়। বপন/ রোপনের দূরত্ব: সারি থেকে সারি ১৫ সেমি. এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ১৫ সেমি.। ফলন: প্রতি বর্গমিটারে ৩০-৪০টি ফুলের ষ্টিক পাওয়া যায়।

রোগবালাই: পাতার দাগ রোগ দমনের জন্য রোভরাল (০.২%) নামক ছত্রাকনাশক ১০ দিন পর পর স্প্রে করা উচিত।

জমি তৈরি ও সার ব্যবস্থাপনা: লিলিয়াম চাষের জন্য মৃদু আবহাওয়া প্রয়োজন। ভালমানের ফুল উৎপাদনের জন্য দিনের তাপমাত্রা ২০-২৫০ সে. এবং রাতের তাপমাত্রা ১০-১৫০ সে. হওয়া বাঞ্চনীয়। অধিকাংশ লিলিয়াম আংশিক ছায়ায় মানসম্পন্ন ফুল প্রদান করে। ৫০% আলো প্রতিরোধ করতে পারে এমন টঠ পলিথিন/শেড নেট ব্যবহার করলে ভালমানের ফুল উৎপাদন করা যায়।

জমি তৈরির সময় মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ কোকোডাস্ট (প্রতি বর্গ মিটারে প্রায় ১০-১৫ কেজি) মিশাতে হবে যাতে মাটিতে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকে। মালচিং লিলিয়ামের জমিকে ঠান্ডা, ঝুরঝুরে ও আগাছা মুক্ত রাখে এবং এর ফলে মাটিবাহিত বিভিন্ন রোগের আক্রমনও কম হয়।

আরও পড়ুন: নতুন ১০ জাতের ধান নিবন্ধন পেল

সাধারণত মালচিং এর জন্য খড়, কচুরিপানা, কালো পলিথিন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। লিলিয়াম বংশবিস্তারের জন্য সাধারণভাবে রোগমুক্ত স্কেল বা বাল্বলেট গোবর মিশ্রিত কোকোডাষ্ট-এ ৩-৪ সেমি. গভীরতায় রোপণ করতে হবে যাতে ফুল উৎপাদন উপযোগী কন্দ উৎপাদনের জন্য ২ বৎসর সময় প্রয়োজন। লিলিয়াম ফুলের চাষ ও রোগবালাই দমন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কোনো তথ্য দরকার হলে আমাদের জানাতে পারেন।