এগ্রিকেয়ার২৪.কম আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক: গত ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী খরার প্রকোপ কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। কিছু এলাকায় দেখা মিলেছে বৃষ্টির। খরা মোকাবেলার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে গতি ফিরছে দেশটির কৃষি উৎপাদন খাতে।

এ ধারাবাহিকতায় ২০১৮-১৯ মৌসুমে আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদন হতে পারে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের (এফএএস) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এগ্রিমানি ও বিজনেস লাইন।

ইউএসডিএর সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, খরা-পরবর্তী ২০১৮-১৯ মৌসুমে আর্জেন্টিনায় সব মিলিয়ে দুই কোটি টন গম উৎপাদন হতে পারে, যা দেশটির ইতিহাসে খাদ্যপণ্যটির সর্বোচ্চ উৎপাদন। এর আগে ২০১৬-১৭ মৌসুমে আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদন হয়েছিল।

সে সময় দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ১ কোটি ৮৪ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ৬২ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি। পরের মৌসুমে দেশটিতে গম উৎপাদন ২ দশমিক ১৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১ কোটি ৮০ লাখ টনে। সে হিসাবে এক মৌসুমের ব্যবধানে আর্জেন্টিনায় গম উৎপাদন বাড়তে পারে প্রায় ২০ লাখ টন।

এদিকে বাড়তি উৎপাদনের জের ধরে ২০১৮-১৯ মৌসুমে আর্জেন্টিনা থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে গম রফতানিতে তেজিভাব বজায় থাকার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দেশটি থেকে সব মিলিয়ে ১ কোটি ৪২ লাখ টন গম রফতানি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ।

এর আগে ২০১৬-১৭ মৌসুমে দেশটি থেকে সবচেয়ে বেশি গম রফতানি হয়েছিল। সে সময় আর্জেন্টিনা থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি আগের মৌসুমের তুলনায় ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১ কোটি ৩৮ লাখ ২৫ হাজার টনে। পরের মৌসুমে দেশটি থেকে সব মিলিয়ে ১ কোটি ২৫ লাখ টন গম রফতানি হয়েছিল, যা আগের মৌসুমের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ কম।