সমীরন বিশ্বাস, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: শীম চাষের সবচেয়ে বড় সমস্যা পোকার আক্রমণ। বিশেষ করে শিম বাইরে থেকে চকচকে থাকলেও ভেতরে পোকার উপস্থিতি দাম কমিয়ে দেয়। তাই শিমের ভেতরের পোকা দমন কৌশল প্রত্যেক চাষির জানা প্রয়োজন।

শিম ছিদ্রকারী পোকা (Pod borer) : পোকার লার্ভা ফুল, ফুলের কুঁড়ি এবং ফল ছিদ্র করে ভেতরের অংশ খায়। এদের আক্রমণে প্রচুর পরিমাণে ফল নষ্ট হয় এবং বাজারে বিক্রির অনুপযোগী হয়ে যায়। একটি লার্ভা একাধিক ফুল নষ্ট করতে পারে। আক্রান্ত ফলে পোকার খাওয়ার চিহ্ন ও মল দেখা যায়।

অত্যধিক আক্রমণে ফল ঝরে পড়ে এবং ফলন কমে যায়। বর্তমানে শিম স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে ১৩টি দেশে। ফলে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। শিম বেশি সুস্বাদু এবং বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষকরা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

লক্ষণ:
১. স্ত্রী মাছি ওভিপজিটর দ্বারা কচি ফলে খোসার নিচে ডিম পাড়ে।
২. ফলের গা থেকে আঠালো রস বের হয় যা শুকিয়ে বাদামী হয়।
৩. ডিম ফুটে কীড়া গুলো ফলের শাঁস খায়, ফল বিকৃত হয়।
৪. ফল হলুদ হয়,পচে যায়, অকালে ঝরে পড়ে শতভাগ ফল নষ্ট হয়।
জৈব ব্যবস্থাপনা
১. বিষ টোপ ফাঁদ ব্যবহার ও ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে পুরুষ মথ নষ্ট করা।
২. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ ও আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে পুতে বা পুড়ে ফেলা।
৩. বেডে লাইনে দূরত্ব বজায় রেখে চারা রোপন করা।
৪. সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার ও শস্য পর্যায় অবলম্বন করা।
৫. কচি ফল কাগজ/কাপড়/পলিব্যাগ দ্বারা ঢেকে রাখা।
৬. জমিতে হলুদ আঠালো ফাদ ঝুলিয়ে রাখা।
৭. পোকার লার্ভা প্রথমে ফুলের ভেতরে অবস্থান করে। আক্রান্ত ফুল ও ফল পোকার লার্ভাসহ সংগ্রহ করে মেরে ফেলতে হবে।
৮. ফসলে পর্যাপ্ত আলো থাকা এবং আগাছা মুক্ত চাষাবাদ
৯. নিয়মিত খেত মনিটরিং করা

রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা
১. কারটাপ গ্রুপ – ( জেনেটাপ ৫০এসপি) নিয়ম মত ব্যবহার করুন বা
২. অ্যাসিটামিপ্রিড গ্রুপ – (জি এক্কা ২০ এসপি) নিয়ম মত ব্যবহার করুন
লেখক: সমীরন বিশ্বাস, লিড-এগ্রিকালচারিস্ট, মদিনা টেক লিমিটেড, ঢাকা।
[email protected] ০১৭৪১১২২৭৫৫