আন্তর্জাতিক কৃষি ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম চাল রপ্তানীকারক দেশের মধ্যে চালের দাম আগের ‍তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ অঞ্চলের বড় চাল রফতানিকারক ভারত ও ভিয়েতনামে চলতি সপ্তাহে রফতানিযোগ্য চালের দাম আগের তুলনায় বেড়েছে।

মূলত উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থেকে দেশ দুটিতে খাদ্যপণ্যটির দামে চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বাড়তি চাহিদা ও বৈরী আবহাওয়াকে দায়ী করছেন। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ ভারতে চলতি সপ্তাহে বাজারে রফতানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চাল টনপ্রতি ৩৯২-৩৯৬ ডলারে বিক্রি হয়, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩ ডলার বেশি।

গত মাসের শুরুতে দেশটির বাজারে রফতানিযোগ্য চালের দাম চলতি বছরের এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছিল। তবে মাসের শেষ দিকে এসে ভারতের বাজারে খাদ্যপণ্যটির দাম বাড়তে শুরু করে।

এখন বর্ষাকাল চলছে উল্লেখ করে অন্ধ্রপ্রদেশের একজন রফতানিকারক জানান,  ভারতের বিভিন্ন চাল উৎপাদনকারী অঞ্চলে প্রয়োজনের তুলনায় বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। এর জের ধরে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় দাম বাড়তে শুরু করেছে।

চাল উৎপাদনকারী দেশগুলোয় বৈশ্বিক তালিকায় থাইল্যান্ডের অবস্থান দ্বিতীয়। চলতি সপ্তাহে দেশটির বাজারে ফ্রি অন বোর্ড (এফওবি) চুক্তিতে প্রতি টন রফতানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৮৫-৩৯৩ ডলারে।

আগের সপ্তাহেও দেশটিতে খাদ্যপণ্যটি টনপ্রতি ৩৮০-৩৮৫ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে থাইল্যান্ডে রফতানিযোগ্য চালের দাম টনে সর্বোচ্চ ৮ ডলার বেড়েছে।

স্থানীয় রফতানিকারকরা বলছেন, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার বাজারে থাই চালের বাড়তি চাহিদা রয়েছে। এ কারণে থাইল্যান্ডে চালের বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে।

ভারত ও থাইল্যান্ডে বাড়লেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ ভিয়েতনামের বাজারে। চলতি সপ্তাহে দেশটিতে রফতানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চাল বিক্রি হয় টনপ্রতি ৩৮৫-৩৯৫ ডলারে।

আগের সপ্তাহে খাদ্যপণ্যটি টনপ্রতি ৩৯০-৩৯৫ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। রফতানি চাহিদা কমে আসায় দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির দাম আগের তুলনায় সামান্য কমেছে। সূত্র: বণিক বার্তা।