অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: দেশে পেঁয়াজের সংকট কাটাতে অন্যান্য মসলার মতো ‘পেঁয়াজ গুঁড়া’ উদ্ভাবন করেছে বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্র। হলুদ, মরিচ বা ধনিয়া গুঁড়ার মতোই যথাযথভাবে প্রক্রিয়াজাত করে রান্নার কাজে ব্যবহার করা যাবে এ গুঁড়া।

কাঁচার চেয়ে পেঁয়াজের গুঁড়া বেশি সাশ্রয়ী হবে এবং সংরক্ষণ করা যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানান, এ প্রক্রিয়ায় দেশের মোট চাহিদার ৩০ শতাংশ পেঁয়াজের পচন রোধ করা সম্ভব। তা ছাড়া দেশে পেঁয়াজ আমদানির ওপরও চাপ কমবে।

আরও পড়ুন:রাজশাহীতে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে পেঁয়াজ

২০০৯ সালের দিকে পেঁয়াজের পাউডার প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু করেন বগুড়ার শিবগঞ্জের মসলা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পোস্ট হারভেস্ট) ড. মো. মাসুদ আলম। সফলতা আসতে সময় লেগেছে পাঁচ বছর। এর পরও প্রায় সাত বছর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। তার উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে পেঁয়াজের পাউডার বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণাগারে ড. মাসুদ আলমের তত্ত্বাবধানে গুঁড়া পেঁয়াজের উৎপাদন চলছে। তিনি জানান, পেঁয়াজ গুঁড়া করলে এর গুণগত মান ও স্বাদ আগের মতোই থাকবে। এক কেজি পেঁয়াজ শুকিয়ে গুঁড়া পাওয়া যায় ১০০-২০০ গ্রাম। সম্পূর্ণ দেশীয় এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ছোট পরিসরেও উদ্যোক্তারা পেঁয়াজ গুঁড়া উৎপাদন করতে পারবেন, সংরক্ষণও করতে পারবেন সহজেই।

আরও পড়ুন: বছর জুড়ে পেঁয়াজের কেজি থাকবে ৫৫ টাকা

মসলা গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য মতে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদিত হয় প্রায় ২৪ লাখ টন। বাকিটা আমদানি করতে হয়। পেঁয়াজের পাউডার বাজারজাত করা গেলে আমদানি কমবে। উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে দেশে পেঁয়াজের পাউডারের বাজার তৈরি করলে বিপুল আয়ের নতুন পথ খুলবে।

সংকট কাটাতে এবার ‘পেঁয়াজ গুঁড়া’ উদ্ভাবন শিরোনামে সংবাদের তথ্য সমকাল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

এগ্রিকেয়ার / এমবি